আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

সৈয়দপুরে ঠিকাদার হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ কলেজ ছাত্র গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রাত ১০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ২৮ ফেব্রুয়ারি॥ সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কে দৃষ্টিনন্দন ছাত্রাবাসে ঠিকাদার আব্দুল জলিলকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ কলেজ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। আজ বৃহ¯পতিবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) নীলফামারী জেলা শহরের চৌরাঙ্গী মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ছাত্ররা হলো দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুজালপুরের সেন্টারপাড়ার মৃত জিন্নাহ আলী চৌধুরীর ছেলে আল রিয়াদ চৌধুরী (২৫), একই এলাকার পরেশ সরকারের ছেলে অমৃত সরকার (২৬), পার্বতীপুর উপজেলার সরদার পাড়ার ইয়াকুব আলীর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২৫), নীলফামারী সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে আরমান হোসেন হাসু (২৫) ও রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর পাইকপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৩)। সকলেই সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র ছিল। অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার এস এম রমজান হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলাটি সৈয়দপুর থানা কর্তৃক ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করায় মামলার বাদী আদালতে নারাজী দাখিল করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সিআইডিতে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করে বিজ্ঞ আদালত। আমরা অধিকতর তদন্তে ঘটনার রহস্য উম্মোচন করি এবং প্রকৃতপক্ষে এই ছাত্রাবাসের ছাত্ররাই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। এদের মধ্যে ৫জনকে গ্রেফতার করেছি আর বাকী ৬জন পলাতক রয়েছে। বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে ১৭ এপ্রিল সকালে গাইবান্ধা শহরের মমিনপাড়ার ঠিকাদার আব্দুল জলিল চারতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ছাত্রাবাসে তার এক পরিচিত ব্যাক্তিকে খুঁজতে যায়। এ সময় ১ম ও ২য় তলায় বিভিন্ন কলেজের অবস্থানরত ছাত্ররা তাকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে জখম করে। পরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পর ঠিকাদার আব্দুল জলিল মারা যায়। সে সময় ছাত্ররা গণপিটুনীতে জলিল নামে একজন চোর মারা গেছে বলে প্রচার চালায়। বাসার মালিক মোসলেমা বেগম ওই সময় নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ৩০৪ পেনাল কোড ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সবুর একই বছরের ৭ ডিসেম্বর সৈয়দপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের পিটুনীতে নিহতের কথা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করায় মামলার বাদী ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী করেন। আদালত বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭/০৭/২০১৭ মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগ নীলফামারীর ওপর ন্যস্ত করেন। #

মন্তব্য করুন


 

Link copied