আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ শংকু সমাজদারের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস

রবিবার, ৩ মার্চ ২০১৯, সকাল ০৯:৪৪

 মমিনুল ইসলাম রিপন: আজ ৩ মার্চ স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের প্রথম শহীদ শংকু সমাজদারের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস। এদিনে অবাঙালির গুলিতে নিহত হন কিশোর শংকু। এউপলক্ষে রংপুরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। রংপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরু ৭১-এর ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চের পূর্ব নির্ধারিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন মুলতবি করার প্রতিবাদে ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ডেকেছিল জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। সেই হরতালের মিছিলে গিয়ে অবাঙ্গালিদের(বিহারী) ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হয়েছিল রংপুরের শংকু সমাজদার। শংকু সে সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণেও তার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবেও বলা হয় ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে শহীদ শংকুর আত্মদান আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে আরও বেগবান ও ত্বরান্বিত করেছিল’। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সারাদেশের ভূমিকার পাশাপাশি সংগ্রামী ও অবহেলিত জনপদ রংপুরের অবদান ছিল অগ্রগণ্য। স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ সূচনা হয় রংপুর, ঢাকা ও সিলেট থেকেই। স্বাধীন বাংলার প্রথম মিছিল হয়েছিল এ রংপুরেই । আর রংপুরে স্বাধীনতার প্রথম শহীদের দাবিদারও। ওই সময় মিছিল বেরুলে পুলিশ এবং অবাঙালিদের গুলিতে শহীদ হন অনেকেই। এদের মধ্যে সকালে রংপুরে প্রথম শহীদ হন স্কুল ছাত্র শংকু সমজদার (১২)। অবাঙালির ছোড়া গুলিতে শংকুর মৃত্যুতেই সেদিন জেগে উঠে রংপুর। উত্তাল হয়ে উঠে রাজপথ। আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে উঠে শহরময়। ৩ মার্চের হরতালকে সফল করতে আগের দিন ২ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের রংপুর জেলার তৎকালীন সভাপতি রফিকুল ইসলাম গোলাপ( প্রয়াত) সেন্ট্রাল রোডস্থ পাঙ্গা হাউসের ছাদে এক সভা ডাকেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পরদিন সকালে সকলে শহরের জিরো পয়েন্ট কাছারি বাজারে জমায়েত হন। তখনও অল্প সংখ্যক মানুষ। সেখান থেকে বর্তমান শাপলা চত্বর অভিমুখে একটি মিছিল বের হলে নিমিশেই হাজারো জনতা যোগ দেয়। মিছিলটি তৎকালীণ তেতুলতলায় (বর্তমান শাপলা চত্বর) পৌঁছলে সেখানে শহীদ মুখতার ইলাহী, শহীদ রনী রহমান ও জিয়াউল হক সেবুর নেতৃত্বে কারমাইকেল কলেজ থেকে আরেকটি মিছিল যোগ দেয়। মিছিলটি যখন রংপুর রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিল ঘোড়াপীর মাজারের সামনে অবাঙালি সরফরাজ খানের বাসায় ছিল উর্দুতে লেখা একটি সাইনবোর্ড। ওই বোর্ড নামাতে যায় মিছিলকারী স্কুল ছাত্র শংকু সমাজদারক’জন। তখনই সরফরাজ খানের বাড়ি থেকে চালানো হয় গুলি। শংক মাথায় গুলি লাগে। অবাঙালির ছোড়া গুলি এবং শংকুর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সে দিন গোটা শহর রূপ নেয় এক ভয়াল শহরে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied