ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আজ শনিবার সকালে আদালতে তোলা হয়। তবে আদালতে তোলার সময় গণমাধ্যমের দিকে চেয়ে তাকে মুচকি হাসতে দেখা যায়। এ সময় তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুতাপ দেখা যায়নি।
আদালতে উপস্থিত আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, ট্যারেন্ট অনেকটা সময় অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে গণমাধ্যম কর্মীদের দিকে। ছবি তোলার সময় তাদের দিকে তীর্যক হাসি ছুঁড়ে দেয় সে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছেন ট্যারেনকে। তিনি নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনের অ্যান্ডারসনস বে এলাকার বাসিন্দা। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে আদালতে প্রবেশের সময় রীতিমতো মাথা উঁচু করে প্রবেশ করতে দেখা যায় ট্যারেন্টকে, যা আদালতে উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।
তবে বন্দীদের সাদা পোশাকে, হাতকড়া পরে খালি পায়ে আদালতে হাজির হওয়া ট্যারেন্ট কোনো কথা বলেনি। শুধু হাতের ইশারায় জানিয়েছেন, সব ঠিক আছে। এমন ইশারা শেতাঙ্গ উগ্রবাদীদের মধ্যে প্রচলিত একটি বিষয়।
আদালতে দায়িত্বরত আইনজীবী রিচার্ড পিটারস জানান, ট্যারেনের জামিনের কোনো আবেদন হচ্ছে না। তার নাম গোপন রাখারও কোনো আবেদন ছিল না। তবে বিচারক পল কেলার হামলাকারী ট্যারেনের ছবি তোলা ও ফুটেজ নেওয়ার অনুমতি দিলেও তিনি বিচার সম্পর্কিত অধিকার বজায় রাখতে তার ছবি প্রকাশের সময় মুখ ঝাপসা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগে ট্যারনের কোনো পেশার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া আদালত কক্ষে সাধারণ লোকজনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালান ব্রেন্টন। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। দুই মসজিদে হামলায় নিহত ৪৯ জন।