আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

সড়ক দুর্ঘটনায় এগিয়ে বাস; মামলায় এগিয়ে মোটরসাইকেল

শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯, দুপুর ১২:৪৯

 রাজীব, দিয়া, মিমের ধারাবাহিকতায় আবরার, একের পর এক ঝরছে তাজা প্রাণ। এ ছাড়া সারাদেশে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। অথচ মৃত্যুর মিছিলে আজ পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই যেখানে মোটরসাইকেল চাপা পড়ে কারো মৃত্যু হয়েছে এবং তার ফলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সংগ্রামের ঘটনা ঘটেছে। তবুও দেখা যাচ্ছে, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বাস ছেড়ে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের পিছেই লেগে আছে। পুলিশের চলমান ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহের প্রথম তিনদিনের পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ।

ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম তিন দিনের ওই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বাসের বিরুদ্ধেই ট্রাফিক সদস্যরা মামলা করেছে চার হাজার ৭১৯টি, পক্ষান্তরে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৯ হাজার ৩৩৩টি। যদিও বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণায় উঠে এসেছে- রাজধানীতে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বাসের কারণেই ঘটছে। তা ছাড়া যেখানে-সেখানে বাস থামানো, যাত্রী ওঠা-নামা করা, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি, প্রতিযোগিতাসহ ইত্যাদি অহরহ ঘটনা ঘটাচ্ছে কেবল বাস চালকরাই।

বুয়েটের এআরআই জানাচ্ছে, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৬৬ দুর্ঘটনায় ৬৯৯ জন নিহত এবং এক হাজার ২২৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৪ দুর্ঘটনা বাসের কারণে ঘটেছে। এ ছাড়া ১৩০ দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলের কারণে, ট্রাকের কারণে ১৩৩, পিকআপ ৭৩ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে ৫৬টি। যদিও পুলিশকে সদা তৎপর থাকতে দেখা যায় মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধেই। এদিকে, সবশেষ গত ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষের পরিসংখ্যানও দিচ্ছে একই রকম তথ্য।

মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে করা মামলার সংখ্যা, বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রায় দ্বিগুণ। গত বছরের ১৪ আগস্ট শেষ হওয়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬৩টি। যা বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার তিনগুণেরও বেশি। বাস ছেড়ে মোটরসাইকেলের দিকে এত বেশি মনোযোগী কেন পুলিশ এমন প্রশ্নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ না করায় উত্তর জানা সম্ভব হয়নি। চলতি ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই রাজধানী নর্দ্দা এলাকায় বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী আবরার নিহত হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানীর কল্যাণপুরে লরি চাপায় মারা যান এক মাদ্রাসা শিক্ষক। উল্লেখ্য, রাজধানীর রাজপথে শৃঙ্খলা ফেরাতে চলমান ট্রাফিক সপ্তাহ চলবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন


 

Link copied