সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উপজেলার রাউতপাড়া ও ঘোষপুর গ্রামে ২’শ একরের বেশি জমি নির্বাচন করেছেন। এর আগেও পীরগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১০/৩/২০১৯ইং তারিখে ০৩.৭৫৯.১৪.০০.০০.২৭১.২০১৯-৬৭৮ নম্বর স্মারকে রংপুরের জেলা প্রশাসককে রংপুর জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব প্রেরনের চিঠি দেয়। রংপুরের জেলা প্রশাসক ১৪/৩/২০১৯ইং তারিখে ০৫.৫৫.৮৫০০.০১০.০৫.০০০.১৯- ৪২৭(৪) নম্বর স্মারকে পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মহাসড়কের কাছাকাছি ২’শ থেকে ৩’শ একর বা তদুর্ধ্ব খাসজমি নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দেন। খাসজমি না পাওয়া না গেলে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির প্রস্তাব প্রেরনের জন্যও বলা হয়।
সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত এবং সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পূর্বপাশে উপজেলার রাউতপাড়া ও ঘোষপুর গ্রামে ২’শ একর জমি নির্বাচন করেছেন। জমি মালিক রাউৎপাড়ার ফজলুল হক মন্ডল বলেন, আমরা কর্মসংস্থান চাই। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় যত পরিমান জমির প্রয়োজন, তা দিতে আমরা প্রস্তুত। সরকার উত্তরাঞ্চলে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ঘোষপুর ও রাউৎপাড়ায় জমি পরিদর্শন করেছি। জমিগুলো সমতল এবং ভুমি মালিকরাও বেশ উৎসাহী। মঙ্গলবার প্রস্তাব পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব মুঠোফোনে বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা জন্য জরুরী ভিত্তিতে জমি নির্বাচন করে প্রস্তাব প্রেরনের জন্য ইউএনওকে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, শানেরহাট ইউনিয়নের ৪ গ্রামের ৯৩ জন জমি মালিক ঘোষপুর ও রাউতপাড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিপূর্বেই স্থানীয় সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।