লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সীমান্তে থেকে ভারতের গরু জবাই করে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিক্রী করার অপরাধে তিন ব্যবসায়ীর জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রবিউল হাসান।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সীমান্ত সুত্রে জানা গেছে, চামড়া রক্ষায় ও পাচারের ঝামেলা এড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জিবিত গরু পাচার কমিয়ে গরুর মাংস পাচারের অভিনব কৌশল গ্রহন করে। তারা ভারতের অভ্যন্তরে দিনে গরু জবাই করে মাংসের রান বস্তায় ভড়িয়ে রাতের আঁধারে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতায় পাচার করেন। এরপর পিকআপ ভ্যানে করে পরদিন জেলার বিভিন্ন বাজারসহ রাজধানী ঢাকায়ও চলে যাচ্ছে এসব বাসি মাংস। যা স্থানীয় বাজারের চেয়ে কেজি প্রতি ৭০/৮০ টাকা কমে বিক্রি করছে চক্রটি। কম দামে পেয়ে এসব মাংস ক্রয় করছেন সাধারন ক্রেতাসহ হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।
এমন একটি গোপন খবরে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রবিউল হাসান থানা পুলিশ নিয়ে উপজেলার তুষভান্ডার দৈনিক বাজার ও মহিলা কলেজ গেটের মাংসের দোকানে অভিযান চালান। এ সময় পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন ২০১১ এর ২৪ ধারায় দুইজন মাংস ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা এবং মাংস বিক্রির সনদ না থাকায় অপর এক ব্যবসায়ীকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
গত সপ্তাহে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি বাজারেও ভারতীয় মংস বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীর ৩হাজার টাকা জরিমানা করে শতর্ক করেন আদিতমারী ইউএনও আসাদুজ্জামান। এরপরও ওই ব্যবসায়ী পুনরায় ভারতীয় মাংস বিক্রি করায় অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেন স্যানিটারী পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন।
কালীগঞ্জ ইউএনও রবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রানি সম্পদ কর্মকর্তার সনদ মুলে নিদৃষ্ট স্থানে পশু জবাই করে তবেই বাজারে বিক্রি করতে হবে। পিকআপ ভ্যানে মাংস নিয়ে আসা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।