আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ধর্মীয় শ্লীলতাহানি আর ভনশালীর লীলা

বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ০২:০০

বোঝাই যাচ্ছে, ছবিটাকে নিয়ে এতটা ভাবনার মধ্যে পড়েছে যখন আদালত, তখন তার গভীর কারণও আছে। সেই কারণটার নাম প্রভু সমাজ ধার্মিক রাম লীলা কমিটি। তার হয়ে ছয় জনের একটা দল মামলা ঠুকে দেয় ছবিটাকে নিয়ে। তাদের বক্তব্য, ছবির নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হিন্দুদের দুই মান্যগণ্য দেবতা রাম আর কৃষ্ণ। এই যে পোস্টারে ছবির নাম ‘রাম লীলা’, আর তার ঠিক ওপরেই লেখা থাকে ‘গোলিয়োঁ কি রাস লীলা’- এর চেয়ে মহাপাপ আর হয় না। লোকে ভেবে নিতেই পারে যে, রামই রাসলীলা করেছিলেন! এরকম তথ্য বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে ছবি, তাকে কি মুক্তি পেতে দেওয়া যায়? অভিযোগ আছে আরও খানিক। প্রভু সমাজ ধার্মিক রাম লীলা কমিটি বলছে, তারা ফি বছর যে রামের লীলা দেখিয়ে থাকে, তা শাস্ত্রমাফিক শুদ্ধ ও পবিত্র। সেখানে কোনও বেলেল্লাপনার ঠাঁই নেই। অথচ যুগাবতারের নাম নিয়ে এ কী দেখাচ্ছেন ভনশালী? লালসা, হিংসা, উগ্র যৌনতা- এ সবই যে কুরুচির আরেক নাম। এ যে ধর্মের শ্লীলতাহানির নামান্তর! ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধান এমন চাপ নিতে না পেরে আপাতত তাই প্রেক্ষাগৃহের পথ রোধ করে দিল ছবিটির জন্য। রাজধানীর আদালতটির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ এ এস জয়চন্দ্রর মুখ থেকে শোনাও গেল, আপাতত ছবিটির মুক্তির ব্যাপারটা মুলতুবি থাক। আদালত এই নিয়ে রাত-দিন ভালই ভাবছে; কিছু একটা সুরাহা হবেই। তবে তার আগে ছবি মুক্তির কথা ভাবাটাও অপরাধ! এ তো গেল ঠাকুর-দেবতার সমস্যা-লীলা! কার্যত, ছবিটাকে নিয়ে নানান মানুষের নানান লীলাও মুক্তির পথে চাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সৌরাষ্ট্রে এর মধ্যেই জোর কাজিয়া বেঁধেছে ছবি মুক্তিকে ঘিরে। রাজপুত সম্প্রদায়কে যেরকমভাবে ছবিতে দেখিয়েছেন ভনশালী, তার থেকে নাকি মনে হতেই পারে হিংসা আর যৌনতা ছাড়া রাজপুতদের জীবনে আর কিছুই ছিল না; কিছুই নেইও! ভাবনগরের এক মাল্টিপ্লেক্স-কর্তা মহেন্দ্র গোস্বামীর কাছ থেকে জানা গেল তেমনই এক দাঙ্গার কথা- ‘গত রবিবারই অপ্সরা টকিজের সামনে ছবি মুক্তি নিয়ে বেশ মারপিট হয়েছে। রাজপুত কমিউনিটি কিছুতেই ছবিটা মুক্তি পেতে দেবে না। এখনও পরিবেশ শান্ত হয়নি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়’! অবশ্য বলে রাখা ভাল, শুধুমাত্র সৌরাষ্ট্রেই চলছে এই জেহাদ। গুজরাতের আরেক মাল্টিপ্লেক্স-কর্তা প্রশান্ত সোলাঙ্কি বলছেন অন্তত তেমনটাই, ‘উত্তর, মধ্য আর দক্ষিণ গুজরাত বেশ শান্তই আছে। এসব জায়গায় ছবিটার মুক্তি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই’। এখন কথায় বলে, যা হয়, তা ভালর জন্যই হয়! এতসব কিছু জেনে-টেনে রাম লীলা দেখার আগ্রহটা কি আরও চাগিয়ে উঠছে না? সমস্যা যতই হোক, মুক্তি পাবেই ছবি; তুখোড় বাণিজ্যও কুড়াবে প্রশংসা না কুড়ালেও! এত ভাল প্রচার কি আর বিফলে যাবে? বিফলে যাচ্ছেও না! অবশেষে সঞ্জয় লীলা ভনশালী বেছে নিয়েছেন আপোসের পথ; ছবিটার নামটা একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রেখেছেন তিনি। এখন থেকে আর ছবির নাম 'রাম লীলা' নয়, ছবির পুরো নাম 'গোলিয়োঁ কি রাসলীলা : রামলীলা'! গোলাগুলির এই রাসলীলা মুক্তি পেয়েছে সেই পূর্ব নির্ধারিত ১৫ নভেম্বরেই। তা, ছবি মুক্তির পরে নতুন করে গোলাগুলির লীলা যদি শুরু হয়? হলে হবে, সেটাও যে ছবির প্রচার বাড়াবে, তাতে আর সন্দেহ কি!

মন্তব্য করুন


 

Link copied