মমিনুল ইসলাম রিপন: ক্লাসে পড়ায় না পারায় অভিনব কায়দায় শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একজনের থুথু অন্যজনকে জোর করে খাওয়াতেন তিনি। দিনের পর দিন এরকম অমানবিক আচরণ বন্ধ না হওয়াতে ফুঁসে উঠেছেন অভিভাবকসহ বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ চতুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অন্য এক শিক্ষার্থীর থুথু খাওয়াতে ব্যধ করে শিক্ষক জামাল উদ্দিন। ওই ঘটনার পর স্কুলে যেতে না চাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আজ বিক্ষোভ করে বিদ্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান।
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিলকিছ আক্তার, পলি বেগম, ও কুলছুমসহ একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ক্লাসে পড়া না পারলে জামাল স্যার আমাদের মারধর করেন। মাঝে মাঝে এক ছাত্রীর থুথু অন্য ছাত্রীকে দিয়ে চাটিয়ে নিতেন। এতে কেউ কান্নাকাটি করলে তিনি থুথু খাওয়াতে বাধ্য করেন। দিনের পর দিন এমন শাস্তির কারণে আমাদের অনেকেই স্কুলে যেতে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবক আয়নাল হক, আব্দুল মতিন ও হাবিব মিয়া জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুদের থুথু খাওয়ানোর কারণে তারা স্কুলে যেতে চায় না। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
এদিকে পড়া না পারায় শিক্ষার্থীদের মারধররের পর থুথু চাটানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বুঝলাম আমার অপরাধ হয়েছে। কিন্তু আমি তো ছেলেমেয়েদের ভালোর জন্যই ওদের ভয় দেখাতাম। যাতে ওরা পড়া লেখায় মনোযোগ দেয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক খালেদা আক্তার বলেন, ঘটনার বিষয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা আহবান করা হয়েছে। সভার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।