স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ১১ এপ্রিল॥ ফুঁচকা ব্যবসায়ী এমদাদুল (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার শহরের ওয়াপদা নতুন হাট দক্ষিণপাড়া থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এদিন দুপুরে জেলার মর্গে লাশ ময়না তদন্ত করা হয় বলে জানায় সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা।
জানা যায় ওয়াপদা নতুন হাট দক্ষিণপাড়ার মৃত. নসির উদ্দিনের ছেলে এমদাদুলের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত. বাছাই মাহামুদের ছেলে ওসমান গনীর জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত ৮ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে এমদাদুলের বাড়িতে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায় ওসমানের পরিবারের লোকজন। এনিয়ে এমদাদুল ওইদিন রাতেই সৈয়দপুর থানায় ওসমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এমতাবস্থায় গতকাল বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত ৯ টায় মালেক, রমজান ও বাবু এমদাদুলকে ডাকতে থাকে। এসময় এমদাদুলের স্ত্রী তসলিমা তাদেরকে বাড়ির ভিতরে যেতে বললে তারা বাড়ির ভিতরে যায় এবং এমদাদুলকে নিয়ে বাড়ির বাহিরে যায়। রাত ১০ টায় এমদাদুলের বড় মেয়ে মৌসুমী মোবাইলে বাবার সাথে কথা বললে সে জানায় একটু পরেই বাসায় ফিরবে। কিন্তু তার পর থেকে এমদাদুলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং সে রাতে তিনি আর বাড়িতে ফিরেনি। রাতে কোথাও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়না। বৃহস্পতিবার ভোরে এলাকাবাসীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে গেলে তারা দেখতে পায় একটি গাছে এমদাদুলের লাশ ঝুলছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষ ওসমানের পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। অনেকের ধারনা ফুঁচকা ব্যবসায়ী এমদাদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা এটি হত্যা না আত্নহত্যা।