রোববার দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন কাভার্ড ভ্যানের চালক ও লাবণ্যকে বহনকারী উবার মোটরসাইকেল চালক দুজনই বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তারা একে অপরকে ওভারটেক করার চেষ্টা করাতেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে এবং তাতে লাবণ্য মারা যান।
লাবণ্যের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার কাভার্ডভ্যান ও তার চালককে আটক করে পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে লাবণ্যকে বহনকারী উবারচালক সুমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত সুমনের মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।
উবারচালক সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে লাবণ্যকে শ্যামলী ৩নং রোড থেকে বাইকে উঠান সুমন। গন্তব্য ছিল খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে। মোটরসাইকেলটি দ্রুত গতিতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে গেলে একজন লোক দৌঁড়ে বাইকের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হন। এ সময় সুমন বাইকটি ব্রেক করেন। তখন দ্রুতগতিতে আসা একটি কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে বাইকে ধাক্কা দেয়। এতে লাবণ্য ছিটকে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। আহত হন চালক সুমন নিজেও।
পরে সুমন লাবণ্যকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসক লাবণ্যকে মৃত ঘোষণা করলে মৃতদেহ রেখেই সুমন ভয়ে পালিয়ে যান।
নিহত ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) বেসরকারি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শ্যামলীর ৩ নম্বর সড়কের বাসিন্দা এমদাদুল হকের মেয়ে।