আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

শ্রমজীবী মানুষের মিছিল স্লোগানে মুখরিত রংপুর

বুধবার, ১ মে ২০১৯, দুপুর ০৩:১০

বেলা বাড়ার সাথে সাথে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা শাপলা চত্ত¡রে বিভিন্ন সংগঠণ নিজ নিজ ব্যানারে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। দুপুর বারোটায় পর কানায় কানায় পূর্ণ হয় শাপলা চত্ত¡রের শ্রমিক সমাবেশ স্থল।আলোচনা শেষে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে কপালে কব্জিতে লালসালু আর হাতে লাল নিশান উড়িয়ে কলকারখানা, হোটেল-রেস্তোরো, দোকানপাট, ইমারত ও পরিবহন শ্রমিক ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশার শ্রমিকরা অংশ নেন। মহান মে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আট ঘণ্টা শ্রম সময় কিন্তু আমরা শ্রমিকরা প্রায়ই ওভার টাইম করছি। এতেও মালিকদের কাছ থেকে মূল্যায়ন পাওয়া যায় না। শ্রম বৈষম্য দূরীকরণে সকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৮৮৬ সালের শ্রমিক বিপ্লবের ১৩৩ বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমিক শোষণ বেড়েই চলেছে। যাদের শ্রমে-ঘামে দেশ এগিয়ে চলেছে সেই শ্রমিকদের মূল্যায়ন না করলে কপালে দুগর্তি আছে হুশিয়ারি উচ্চারণ শ্রমিক নেতারা বলেন, মানবিক জীবন-যাপনের উপযোগী মজুরিও পায় না শ্রমিকরা। অথচ মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন করলেই আমাদের কপালে জোটে পুলিশের লাঠিচার্জ। মজুরি বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রে উন্নত পরিবেশের দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন আজো হয় নি। ন্যায্য মজুরি থেকে শ্রমিকদেরকে বিরত করা, আগুনে পুড়ে ও ভবন ধ্বসে শ্রমিকদের মৃত্যবরণ, আর হামলা মামলা করে শ্রমিকদের আন্দোলন দমন ও পুঁজিবাদী শোষণমূলক ব্যবস্থার এই হচ্ছে চিরাচরিত নিয়ম। এসময় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সরকারের পাশাপাশি মালিক পক্ষের লোকজনকে সহযোগিতা কামনা করেন।

এর আগে সকাল দশটায় রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত¡র থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী কাচারী বাজার এলাকা থেকে বের হয়। রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই র‌্যালীটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী, স্থানীয় সরকার পরিচালক রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পক (ভারপ্রাপ্ত) হাজী আব্দুর রাজ্জাক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, রংপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও জাতীয় শ্রমিকলীগের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম মুকুল, কোষাধ্যক্ষ শাহরিয়ার কবীর বিটুল, মহানগর শ্রমিকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ৩২নং কাউন্সিলর মাহবুব মোর্শেদ শামীম ,কামারপাড়া কোচষ্ট্যান্ড কমিটির সভাপতি মাহফুজ উন নবীন, সাধারণ সম্পাদক মধু মিয়া, মহানগর অটো শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার কবীর সুমনসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শোভাযাত্রা শেষে টাউন হলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। পরে কামারপাড়াস্থ কোচষ্ট্যান্ডে রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এক শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান অতিথি ও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ প্রধান বক্তা হিসাবে এতে বক্তব্য রাখেন। এদিকে সকাল থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগ, মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, অটোবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চালক শ্রমিক লীগ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, জাতীয় অটোচালক শ্রমিক পার্টি, অটো মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতি, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলার চোখ, হোটেল-রেস্তোরা শ্রমিক ইউনিয়ন, দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মে দিবস উপলক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে র‌্যালী, আলোচনা সভাা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied