সরেজমিনে দেখা যায়, ৩৩১ নম্বর কক্ষটির ছাদে পলেস্তারা খসে রড দেখা যাচ্ছে। এর আগে এই হলে একাধিক বার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। সংস্কার করার সত্তে¡ও বারবার পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও হল কর্মচারীর আহত হওয়ারও ঘটনা ঘটে। হলের সিঁড়িতেও ধরছে ফাটল।
৩৩১ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রফিউল ইসলাম জানান, রাতে পড়াশোনা শেষ করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে রুমে ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। কিন্তু আমাদের বেডগুলো একটু দূরে থাকায় কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। এনিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন এবং সব সময় শঙ্কায় থাকি।
হরের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েই আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু হলের পলেস্তারা বা ছাদের দীর্ঘ মেয়াদী মেরামত করা হচ্ছে না। প্রশাসনকে বার বার অবহিত করার পরও যদি না হল সংস্কার না করেন তাহলে আমাদের দূর্ঘটনার দায় তাদেরকেই নিতে হবে।
জানতে চাইলে নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. একরাম হোসেন বলেন, হল সংস্কার করার টেন্ডার এখনো হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে আশ্বস্ত করছে অতি শীঘ্রই হলের টেন্ডার পাশ হবে। আর পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে। তবে কাজ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্কতা অবলম্বন এবং কোথাও এমন সমস্যা হলে হল কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বলেন।