আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কী হবে এরশাদের সম্পদের, কে হবেন উত্তরাধিকার?

শনিবার, ৪ মে ২০১৯, সকাল ০৮:৩২

জানতে চাইলে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘স্যার (এরশাদ) জিডি করার পরপরই পার্টি অফিস থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি হয়ে গেল! এটা রহস্যজনক। পার্টির মহাসচিব বললেন, রংপুরে বাড়ি করার টাকা ছিল এখানে। স্যার অসুস্থ, রংপুরে বাড়ি কার জন্য করা হয়? আইন অনুযায়ী স্যারের সম্পদের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ হওয়া দরকার।’

জানা যায়, স্বাক্ষর জাল ও সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় গত ২৪ এপ্রিল বনানী থানায় জিডি করেন এরশাদ। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার বর্তমান বা অবর্তমানে স্বাক্ষর জাল করে পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলের পদ-পদবি বাগিয়ে নেওয়া, ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি, পারিবারিক সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য হাতিয়ে নেওয়া এবং আত্মীয়স্বজনদের জানমাল হুমকির মুখে রয়েছে। এ কারণে আমি মনে করি অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন এমন অপরাধ করতে না পারে, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দরকার।’

এর আগে এরশাদ পাঁচজনকে সদস্য করে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্টের নামে দান করেন। এরশাদ ছাড়াও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, এরশাদের একান্ত সচিব মেজর খালেদ আক্তার (অব.), চাচাতো ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। ট্রাস্টের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসা, গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট, বাংলামোটরের দোকান, রংপুরের কোল্ড স্টরেজ, পল্লীনিবাস, রংপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়, ১০ কোটি টাকার ব্যাংক ফিক্সড ডিপোজিট। এদিকে এরশাদ-বিদিশা দম্পতির সন্তান এরিককে নিয়ে চিন্তিত তার মা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজ চিন্তার কথা তুলে ধরে বিদিশা বলেন, ‘বনানী অফিস থেকে টাকা চুরির ঘটনাই প্রমাণ করে এরশাদের শঙ্কাই সঠিক। পরবর্তীতে সহায়-সম্পত্তিই এরশাদ ও এরিকের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। যাদের উনি বিশ্বাস করে ট্রাস্টের দায়িত্ব দিয়েছেন, তারাই এখন অবিশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমি চাই না সম্পত্তির কারণে আমার সন্তানের গায়ে আঁচড় লাগুক। আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এরিক।’

সূত্র জানান, অসুস্থ বিরোধীদলীয় এই নেতার কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেননি। গুলশান-২-এর বাড়িটি রওশন এরশাদকে দিয়েছেন এরশাদ। বারিধারার ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’, যেখানে তিনি নিজে বসবাস করেন সেটি তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা-এরশাদের একমাত্র ছেলে এরিক এরশাদের নামে দেওয়া হয়েছে। পালিত পুত্র আরমানকে দেওয়া হয়েছে গুলশানের অন্য একটি ফ্ল্যাট। রংপুরের সম্পত্তি পেয়েছেন তার ভাই জি এম কাদের ও ভাতিজা আতিক শাহরিয়ার। রংপুরে জাতীয় পার্টির অফিসটি দলকে দান করেছেন এরশাদ।

ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়টি এরশাদের ব্যক্তিগত নামে ছিল। এটি পার্টিকে দান করেছেন। দলটির একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, এরশাদের গুলশান, বনানী এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটে দোকান রয়েছে। এগুলো সন্তান, ভাই, ভাতিজিদের মধ্যে সমবণ্টন করা হয়েছে। এসব বিষয়ে নাম-পরিচয় দিয়ে দল অথবা পরিবারের কেউ সরাসরি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তারা বলছেন, এরশাদের নগদ টাকাসহ সম্পত্তি কী কী আছে তা পরিষ্কারভাবে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানেন না।

পার্টির যুগ্মমহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয় বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে এরশাদ তার পরিবারের বাইরে যাকে বিশ্বাস করেছেন তিনিই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কারও পরিচয় আগে প্রকাশ পেয়েছে, কারও পরিচয় এখন প্রকাশ পাচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকরা পার্টিতে চিহ্নিত। সময়মতো তাদের প্রতিহত করা হবে।’

জানা যায়, গুলশান, বনানীতে যে দোকান রয়েছে সে বিষয়ে সবাই ওয়াকিবহাল। কিন্তু কোথায় কটা দোকান আছে তার হিসাব কারও কাছে নেই। এদিকে এরশাদের অসুস্থতা বাড়তে থাকলে তিনি এরিক এরশাদকে দেখাশোনা ও তার সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য একজন ব্যারিস্টারকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় এরশাদ ইসিতে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাতে তিনি বার্ষিক এক কোটি আট লাখ টাকা আয়ের কথা জানিয়েছিলেন। সম্পদের বিবরণীতে তিনি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, অনির্ধারিত ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বেতন-সম্মানির কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে সর্বশেষ তিনি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন যার মূল্য যথাক্রমে ৬ কোটি ২০ লাখ ও ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংকে এরশাদের ঋণ রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। তিনি নিজেও এই ব্যাংকের একজন পরিচালক। ব্যাংকটি থেকে তিনি বার্ষিক ৭৪ লাখ টাকা বেতন হিসেবে পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এরশাদের ঘনিষ্ঠ, পার্টির সভাপতিম লীর এক সদস্য বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ডে দান করা সম্পত্তির বর্ণনা দেননি এরশাদ। শুধু দানের কথা বলা হয়েছে। ফলে এরশাদের ঠিক কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তা জানা যায়নি। এ ছাড়া জি এম কাদেরকেও এই ট্রাস্টিতে রাখা দরকার ছিল।’ জাতীয় পার্টির নেতাদের তথ্যানুযায়ী, এরশাদ তার বড় ছেলে আল মাহিগীর শাদ এরশাদ (রওশন এরশাদের সঙ্গে থাকেন), ছোট ছেলে শাহতা জারাব এরিক (বিদিশা এরশাদের ঘরের), পালিত কন্যা জেবিন (লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন) ও ভাই-ভাতিজার মধ্যে সম্পদের বড় অংশ ভাগ করে দেন। কিছু সম্পদ এরশাদের কয়েকজন পালিত কন্যা এবং কিছু সম্পত্তি পার্টির অফিস ও এতিমদের জন্য ট্রাস্টে দেওয়া হয়েছে বলেও তখন প্রচার পায়।

এরশাদের কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে- জানতে চাইলে পার্টির কয়েকজন নেতা জানান, রংপুরে বিপুল পরিমাণ ভূসম্পত্তি এবং রংপুর সদরের পদাগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। গুলশান-২-এর বাড়িটি রওশন এরশাদকে দিয়েছেন এরশাদ বহু আগেই। বারিধারার ১০ নম্বর দূতাবাস রোডের ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ যেখানে তিনি নিজে বসবাস করেন সেটি তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদের একমাত্র ছেলে এরিক এরশাদের নামে দেওয়া হয়েছে।

তারা বলেন, পালিত পুত্র আরমানকে দেওয়া হয়েছে গুলশানের অন্য একটি প্ল্যাট। রংপুরের সম্পত্তি পেয়েছেন তার ভাই জি এম কাদের ও এক ভাতিজা। রংপুরের জাতীয় পার্টি অফিস দলকে দান করেছেন। কয়েক বছর আগে চলচ্চিত্র পরিচালক শফি বিক্রমপুরীর কাছ থেকে কেনা ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়টি এরশাদের ব্যক্তিগত নামে ছিল। এটি তিনি পার্টিকে দান করেছেন। এরশাদের গুলশান, বনানী এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটে দোকান রয়েছে। এরশাদের নগদ টাকাসহ সম্পত্তি কী কী আছে তা পরিষ্কারভাবে দলীয় নেতা-কর্মীরা জানেন না।

সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলার জন্য পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। খবর- বাংলাদেশ প্রতিদিন

মন্তব্য করুন


 

Link copied