আজ সোমবার ছাত্রলীগের এক জরুরী বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল সোমবার ইফতারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্কখিত ঘটানার পর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞান অনুষদের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাদুল কবির ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য জারিন দিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার এবং জিয়া হল ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান শান্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
গেল ১৩ই মে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই পদ বঞ্চিতরা এবং কাঙ্খিত পদ না পাওয়ারা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পদ প্রাপ্তরা বাধা দেয়। সংবাদ সম্মেলন শুরুর পরপরই হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে পদ পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে।
এরপর গেল শনিবার গভীর রাতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার সময় আবারও হামলা ক মারধরের শিকার হন বিক্ষুদ্ধ অংশের নেতাকর্মীরা। তারপর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।