আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দিনাজপুর স্পোর্টস ভিলেজ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৩, দুপুর ০৩:৩৭

দিনাজপুর শহরের বড় ময়দানের উত্তর দিকে প্রায় ১ একর জায়গায় নির্মান করা হয়েছে দিনাজপুর স্পোর্টস ভিলেজ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পশ্চিম প্রান্তে জেলার অন্যতম এই ক্রীড়া স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়। সদর ৩ আসনের এমপি বিশিষ্ট ক্রীড়া অনুরাগী ইকবালুর রহিমের ব্যক্তিগত ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দিনাজপুরের খেলোয়াড় ও সংগঠকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করার লক্ষ্যেই স্পোর্টস ভিলেজ নির্মানের কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান কাজ শেষ করে চলতি মাসের ১৮ তারিখে আনুষ্টানিকভাবে ভিলেজের উদ্বোধন করবেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রতিষ্ঠাতা ইকবালুর রহিম এমপি। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্পোর্টস ভিলেজ স্থাপনায় রয়েছে ১টি কনফারেন্স রুম, ২টি ড্রেসিং রুম, ২টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন রুম, ১টি স্টোর রুম, ১টি অফিস রুম এবং ৮টি বাথরুম। ভবনের সামনে ও পিছনে রয়েছে সুপরিসর করিডোর। পূর্বদিকে নির্মান করা হয়েছে ৩০ ফুট২০ ফুট আয়তনের একটি অত্যাধুনিক পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ। পশ্চিম দিকের খোলা জায়গায় তৈরী করা হয়েছে বাস্কেটবল, ভলিবল, কাবাডী ও হ্যান্ডবলের মাঠ। ক্রিকেট প্রাকটিসের জন্য করা হয়েছে বক্সনেট ব্যবস্থা।

দিনাজপুর স্পোর্টস ভিলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার জানান যে, ক্রীড়া অনুরাগী এমপি ইকবালুর রহিমের আন্তরিক উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় নির্মান করা হয়েছে বহু প্রত্যাশিত স্পোর্টস ভিলেজ। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ক্রীড়া স্থাপনার অর্থ যোগানেও তিনি পালন করেছেন মুখ্যভূমিকা। ডলার জানান, দিনাজপুর স্টেডিয়াম শহর থেকে দুরে হওয়ায় সেখানে কোন খেলার আয়োজন করলে দর্শকদের টানাই যেত না। শহরের প্রাণকেন্দ্র বড় মাঠে সব ধরনের খেলায় সব সময় দর্শকের সমাগম হয় উপচে পড়া। অথচ বড় মাঠে কোন স্থাপনা না থাকায় খেলোয়াড়দের পোহাতে হতো দারুন বিড়ম্বনা। ছিল না কোন ড্রেসিং রুম আর টয়লেট সুবিধা। ডেকোরেশনের কাপড় ঘেরা দিয়ে তৈরী করা হতো ড্রেসিং রুম। বিশেষ করে মহিলাদের কোন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজনে কি যে দুর্ভোগ পোহাতে হতো তা কেবল খেলোয়াড় ও সংগঠকেরা উপলব্ধি করত। একথায় সব ধরনের সমস্যাকে মেনে নিয়েই বড় ময়দানে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা। খেলোয়াড় ও সংগঠকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে নানা সুযোগ সুবিধা সম্বলিত স্পোর্টস ভিলেজ দিনাজপুরের ক্রীড়াঙ্গনকে যুক্ত করবে এক নতুন অগ্রযাত্রায়। সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার বলেন, শীঘ্রই ভবনের দোতলায় নির্মান কাজ শুরু হবে ডরমিটরির। এই ডরমিটরি খেলোয়াড়দের জন্য আবাসন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে ডরমিটরি নির্মান না হওয়া পর্যন্ত সুপরিসর ২টি ড্রেসিং রুমে খেলোয়াড়দের আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক জেলা শহরেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ধরনের ক্রীড়া স্থাপনা নেই। তাই দিনাজপুর বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগীতার ভেন্যু হিসেবে বিশেষ সুবিধা পাবে বলে ডলার আশা করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied