আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

কুড়িগ্রামে পুত্রের চেয়ে পিতার বয়স মাত্র দেড় বছর বেশি

শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯, রাত ০৮:০১

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে তবকপুর আবু বকর সিনিয়র মাদ্রাসায় ২০১৬ সালে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। এ সময় আনোয়ারুল ইসলাম এবং কাবিল উদ্দিন দুই জন পিয়ন পদে নিয়োগ পান। আনোয়ারুল ইসলাম একই ইউনিয়নের খামার তবকপুর গ্রামের মৃত উমর আলীর পুত্র। নিয়োগ পাবার পর নভেম্বর মাসেই যোগদান করেন এই দুজন।

জানাযায়, আনোয়ারুল ইসলাম ও কাবিল উদ্দিন এরা দুজনেই মূলত ৫ম শ্রেণি পাশ হলেও নিয়োগে দেখানো হয় ৮ম শ্রেণি পাশ। দুজনই এমপিও ভূক্তহন ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। এমপিও সিটে দেখা যায় ইনডেক্স ২১২১৭৮৫ নম্বরে আনোয়ারুল ইসলামের জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৯৫ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি । তার এনআইডি ১৯৭৮৪৯১৯৪৭৮৬৩৪৩৩৭ নং কার্ডে দেখা যায়, জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। পিতা-উমর আলী, মাতা- মোছা: শেফালী বেগম। গ্রাম-খামার তবকপুর। ভোটার সিরিয়াল নং- ৫৮৩ এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৪৯০৭৬৩৬৩৪৩৩৭। তিনি চাকুরিতে যোগদানের সময় বয়স লুকালেও তার এনআইডিতে আসল বয়স লুকাননি। এছাড়াও তার বড় ছেলে আবু সুফিয়ান ২০১০ সালে এসএসসি পাশের সনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ রয়েছে ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৬। ভুয়া কাগজপত্রাদির মাধ্যমে চাকরি নিয়ে নিয়মিত সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন নিয়োগকৃত আনোয়ারুল ইসলাম এবং কাবিল উদ্দিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক জানান, আনোয়ারুল ইসলাম ইনডেক্স ২১২১৭৮৫ নম্বর এবং কাবিল উদ্দিন ২১১৮২৯২ ইনডেক্স নম্বরে নিয়মিত বেতন ভাতাদি তুলেছেন। এনআইডিতে তারা জন্ম তারিখ ঠিক রেখে সাল পরিবর্তন করেছেন বলে জানান তারা। আনোয়ারুলের ছেলে কারমাইকেল কলেজে মাস্টার্স করছে এবং কাবিল উদ্দিনের বড় ছেলে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছেন। এ ধরনের অনিয়মের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তারা জানলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এই বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ছেলে শামীম ফোন রিসিভ করে বলেন, কি বলার আছে আমাকে বলেন। আমার বাবাকে ফোন দিতে পারব না। এই বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী জানান, এই নিয়োগ গুলো আমার সময়ে হয়নি। প্রয়াত অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুছ সাহেবের সময়কার। তবে এই বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবকপুর আবু বকর সিনিয়র মাদরাসার বর্তমান সভাপতি অ্যাড. মুসা মিয়া প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান, ২০১৮সালের বিধি মোতাবেক কেউ ৩৫ বছরের উর্ধে এবং ৬০ বছর হলে চাকুরি করার নিয়ম নেই। এ ধরনের অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied