স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী ২৪ মে॥ প্রায় দুই মাস হলেও এখোনো নীলফামারী সদর উপজেলায় পদায়ন করা হয়নি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সদরে শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদই ফাঁকা নয় সহকারী কমিশনার(ভুমি) পদও ফাঁকা রয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।
এমতাবস্থায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থেকে কাজ চালাচ্ছেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা। এতে জেলা সদরের প্রশাসনিক দুটি পদ ফাঁকা থাকায় স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার(ভুমি) কার্যালয় সূত্র জানায়, গেল ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যান এসিল্যান্ড নাহিদ তামান্না। কর্মস্থলে আসবেন আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে। এসিল্যান্ড নাহিদ তামান্না থাকা অবস্থায় মাসে শতাধিক খারিজের কাজ হলেও কর্মকর্তা না থাকায় খারিজসহ ভূমি সংক্রান্ত কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। কিন্তু
নীলফামারী সদর ইউএনও বদলি হওয়ায় দুই পদ ফাঁকা হয়ে রয়েছে। বদলী হওয়ায় ২১ মার্চ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় যোগদান করেন নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া।
এখানে অতিরিক্ত হিসেবে ২২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া। দুই উপজেলায় অতিরিক্ত চাপের কারণে সদরের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। ২৮মার্চ থেকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব নেন জলঢাকা ইউএনও সুজাউদৌলা। এখন পর্যন্ত সদরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সুজাউদৌলা জানান, দুই উপজেলারই কাজ করতে হচ্ছে জলঢাকায় থেকে নতুবা এখানে এসে। স্বাভাবিকভাবে একজন না থাকলে সেখানে একটু প্রভাব পড়বেই। তারপরও করেই যাচ্ছি। দ্রুত একজন ইউএনও পদায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন উত্তরবাংলাডটকমকে বলেন, বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ে জানানো হয়েছে। দ্রুত সদরে ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হতে পারে। এছাড়াও প্রশাসনিক কাজে কোন প্রকারের ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।