হিউম্যান ট্রাফিকিং অর্থাৎ মানবপাচার এভাবেই টুকরো কোলাজে ভেসে উঠল ‘কিডন্যাপ’-এর ট্রেলারে। দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে এই ইস্যু নিয়ে মাঝেমধ্যেই তোলপাড় হয়। তারই প্রতিফলন দেখা গেল দেবের আসন্ন ছবি ‘কিডন্যাপ’-এ।
“মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, গত দু’মাস হয়েছে আমার মেয়ে নিখোঁজ…” এই মর্মে শুরু হয়েছে ট্রেলার। দুবাইতে পাচার হয়ে গেছে মেয়ে। মেয়ের সন্ধান পাওয়ার আশায় অসহায় বাবা চিঠি লিখছেন প্রশাসনকে। কীভাবে অপহৃত হল সেই তরুণী? অপরাধের নেপথ্যে কে বা কারা? এই রহস্য নিরসনে নামলেন এক সাহসী নারী সাংবাদিক।
নাম তার মেঘনা। যেই সাংবাদিকের চরিত্রে রয়েছেন রুক্মিনী মৈত্র। কিন্তু, এই রহস্যোদ্বঘাটন করতে গিয়ে সেই সাংবাদিকই এক সাংঘাতিক নারীপাচার চক্রের খপ্পরে পড়েন। দেশ-বিদেশে যারা নারীপাচার নিয়ে দিব্যি ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে এই পাচারচক্র সক্রিয়। দিনের পর দিন ঘটে যাচ্ছে এরকম ঘটনা, কিন্তু তাদের ধারে কাছে যাওয়া তো দূর, পাওয়া যাচ্ছে না টিকিটিও!
ময়দানে নেমে পড়েন এক সাধারণ মানুষ। যে কি না সাংবাদিক মেঘনার প্রেমে পড়ে। কিন্তু, ভালোবাসার মানুষকে বিপদে পড়তে দেখে এগিয়ে যান তিনি। যে করেই হোক পর্দাফাঁস করতেই হবে কে বা কারা, কোথা থেকে এই ব়্যাকেট চালাচ্ছে।
নিজের কাঁধে সমস্ত দায়িত্ব তুলে নেয় সে। অপহৃত হওয়া মেয়েটির বাবাকে আশ্বাসবাণী দেয়, ‘যে করেই হোক আপনার মেয়েকে খুঁজে বের করবই আমি’। এই চরিত্রে থাকছেন দেব। ঠিক এভাবেই এগোয় গল্প।
তারপর? কীভাবে উদ্ধার হয় সেই মেয়েটি, কী করেই বা এই অসাধ্য সাধন করে সেই সাধারণ মানুষ ওরফে দেব? সেই গল্প জানতে হলে আপাতত অপেক্ষা করতে হবে এই অবধি। কারণ, দেব-রুক্মিনীর ইদ উপহার হিসেবেই আসছে ‘কিডন্যাপ’।
চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক রাজা চন্দ খোদ। রোমাঞ্চ, রহস্য, প্রেম রাজা চন্দর ‘কিডন্যাপ’-এর উপকরণ। ট্রেলারে বেশ কিছু অ্যাকশন সিক্যুয়েন্সে নজর কেড়েছেন দেব। দেব-রুক্মিনী ছাড়াও ‘কিডন্যাপ’-এ অভিনয় করেছেন শ্রীপর্ণা সেন, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দন সেন। অপহৃতা মেয়ের চরিত্রে রয়েছেন শ্রীপর্ণা এবং তাঁর বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে চন্দন সেনকে। আগামী জুনের ৫ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে ‘কিডন্যাপ’।
গতবছর ঘোষণা করার পরই এই ছবিকে ঘিরে উন্মাদনা উঠেছিল তুঙ্গে, এবার পোস্টার এবং ট্রেলার সেই খিদে আরও বাড়িয়ে দিল।
অভিনেতা দেব জানিয়েছেন, ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল নয়, বরং, ৫ জুন ‘কিডন্যাপ’ রিলিজ নিয়েই টেনশনে তিনি।