দুপুরে দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও মিলেনি ইফতার সামগ্রী। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোজাদারদের। অনেকেই পানি ও বিস্কুট দিয়েই ইফতার সেরেছেন। গতকাল ভোর ছয়টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের ফলে রংপুর মহানগরীর কোথাও হোটেল, রেস্তোরা ও বেকারি খোলা রাখতে দেখা যায়নি। বিকেলের দিকে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান, শপিং মল, দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, কারখানায় কর্মরত রোজাদারদের ইফতার সামগ্রী কেনার জন্য গোটা শহরে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। পবিত্র রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের এ ধর্মঘটের কারণে জনমণে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে হোটেল, রেস্তোরা ও বেকারি মালিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব বলেন, খাবারের মান উন্নত করার লক্ষ্যে সকল হোটেল, রেস্তোরা ও বেকারী দোকান মালিকদের আরও আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহনশীলভাবে অভিযান পরিচালানা নির্দেশ দেন তিনি।
রংপুর জেলা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ খোকন ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা প্রশাসন ও র্যাব-১৩’র অধিনায়কের সাথে সভা করেছি। তাদের কাছ থেকে সন্তোষমূলক আশ্বাস পেয়েই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমাবার থেকে পূর্বের ন্যায় সকল হোটেল, রেস্তোরা, বেকারি ও ইফতারের দোকানগুলো খোলা রাখা হবে।