আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

জামিনের জন্য ওসি মোয়াজ্জেমের দৌড়ঝাঁপ, গ্রেফতারে নীরব পুলিশ

শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯, সকাল ০৯:০৮

 ডেস্ক: সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। আগাম জামিন পেতে বুধবার (২৯ মে) তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জুন তিনদিন বিচারপতি হাবিবুল গণির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। পরোয়ানা জারির পর জামিনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করলেও মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতারের ব্যাপারে এখনও নীরব পুলিশ। ওসি মোয়াজ্জেমের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওই পরোয়ানা হাতে নিয়েই তাকে গ্রেফতার করবে পুলিশ। এটাই নিয়ম। কিন্তু পুলিশের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকলেও ৫৪ ধারায় তারা আসামিকে গ্রেফতার করতে পারে। না করলেও আইনের ব্যত্যয় হবে না। পুলিশ এ সুযোগ নিতেই পারে। তবে, নিজেদের ভাবমূর্তি ও সুনামের স্বার্থে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করতেই পারে পুলিশ। কারণ, তার অবস্থান সম্পর্কেও তারা জানেন।’ প্রসঙ্গত, যৌন হয়রানির বিষয়ে ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্যের একটি ভিডিও ধারণ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে এই মামলা দায়ের করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও মামলার নথি পর্যালোচনা করে সোমবার (২৭ মে) ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। ওইদিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা সোনাগাজী থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন। এদিকে, গ্রেফতারি পরোয়ানা না পাওয়ার কথা জানিয়ে সোনাগাজী থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘মোয়াজ্জেমের বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে রংপুর রেঞ্জ অফিস। গ্রেফতারি পরোয়ানা সেখানেই যাওয়ার কথা।’ এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিছু দিন আগে তিনি সেখানে যোগ দিয়েছেন। তিনি এখনও সেখানেই সংযুক্ত আছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত ঠিকানায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা যাওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট ইউনিট গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পেলে অবশ্যই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’ ওসি মোয়াজ্জেমের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখনও গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পাইনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে এইচএসসি সমমানের আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। তখন তাকে কৌশলে মাদ্রাসাটির সাইক্লোন শেল্টার ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল তিনি মারা যান। এর আগে, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ এ ব্যাপারে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied