এসব বিপণী বিতানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ প্রতাশি মানুষ। যার যার সামর্থ অনুযায়ী নতুন পোশাক ক্রয় করছে। বড় বড় বিপনী বিতানগুলোতে বাছাই করা কাপড় শো-রুমে শোভা পাচ্ছে। সামর্থবানরা সব চেয়ে সুন্দর ডিজাইনের জামা-কাপড় ক্রয় করার চেষ্টা করছে তাদের প্রিয় জনের জন্য। কাওছার জামান ও বেবি জামান নামে দুক্রেতা জানান, অভিজাত মার্কেট গুলোতে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। প্যান্ট, শার্ট, থ্রী পিছ, শাড়ি ও তৈরি পোশাকসহ সব পণ্যের দাম গতবারের তুলনায় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা বেশি। শহরের কমদামি মার্কেট হিসাবে পরিচিত হনুমানতলা বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যকরা গেছে।
জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স-এর দোকানি রফিকুল ইসলাম, ঈদ উপলক্ষে এ মার্কেটে শুধু রংপুরের মানুষ নয় দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধার ফ্যাশান সচেতন মানুষ ভিড় করছে। সবার চাহিদা দেশি কাডড়ের দিকে।
ব্যবসায়ী আলী ও আফজাল জানান, এখন রেডিমেট পোশাক সবচেয়ে বেশি বিক্রয় হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের পোশাক। তারা বলেন, মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে, থ্রিপিছ, জর্জেটসহ চায়না চিকেন থান কাপড়। এ বছর চায়না চিকেন থান কাপড় ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দামে বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়াও প্রকার ভেদে থ্রী পিছ ৩০০ থেকে ১০ হাজার টাকা, শাড়ি ২৫০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, প্যান্ট পিছ, ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা, শার্ট পিছ ২০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন জানান, এখন ব্যবসায়ীদের দম ফেলারও সময় নেই। রাতদিন চলছে বেচাকেনা। গত বছরের চেয়ে এবার বিক্রি ভাল বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।