আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি       শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল       নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার      

 width=
 

রংপুর ও ফেনী দুই জায়গাতেই পৌঁছেছে পরোয়ানা; পলাতক ওসি মোয়াজ্জেম

রবিবার, ৯ জুন ২০১৯, দুপুর ০৩:০৭

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য গতকাল বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রংপুরে এসেছে। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। পরোয়ানাটি সোনাগাজী থানার ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। রংপুরে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক কাজ করার জন্য তিনি ফেনীর পুলিশকে জানাবেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর দুই দিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।

পুলিশের এই গড়িমসির সুযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন সটকে পড়েছেন। মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক। তিনি বলেন, মামলাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক নিজেই ব্যবস্থা নিতে পারতেন, নেননি। এখন যেহেতু পরোয়ানা ফেনী ও রংপুর দুই জায়গাতেই পৌঁছেছে বলে পুলিশ স্বীকার করেছে, দেখা যাক তারা এখন কী করে। তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমকে কোথাও দেখলে ধরে পুলিশে দিন।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে হাজির হলে বিচারিক আদালত জামিনের ব্যাপারে কিছুটা নমনীয় হবেন, এমন প্রত্যাশা আসামির থাকে। এ মুহূর্তে তাঁকে গ্রেপ্তারের দায়িত্ব রংপুর রেঞ্জের পুলিশের। মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতে হাজির করাও তাদের দায়িত্ব। কারণ মোয়াজ্জেমের সর্বশেষ কর্মস্থল রংপুরে। এখন যেহেতু মোয়াজ্জেম হোসেন অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত, কাজেই তিনি পলাতক। আর তাঁকে যেকোনো জায়গার পুলিশই গ্রেপ্তার করতে পারে। এমনকি জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আদালতে হাজির হলে আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তারেও কোনো বাধা নেই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied