সুত্র মতে, ট্রেনটির সিডিউল অনুযায়ী রাত ৯টা ২০ মিনিটে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে ডোমার-নীলফামারী-সৈয়দপুর-পার্বতীপুর-ফুলবাড়ি-বিরামপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-নাটোর- টাঙ্গাইল-জয়দেবপুর হয়ে ঢাকা কমলাপুর পৌছানোর কথা সকাল ৭টায়। ওই ট্রেনটি আবার সকাল ৮টায় ঢাকা কমলাপুর হতে একই ভাবে ছেড়ে এসে সন্ধ্যা ৬টায় চিলাহাটি পৌছাবে।কিন্তু ট্রেনটি সিডিউল অনুযায়ী চলাচলে ব্যর্থ হয়ে ১১ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছে। এতে দেখা যায় ট্রেনটি চিলাহাটি হতে রাত ৯টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে রবিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে যায় ঢাকায়। এ রির্পোট লিখার সময় বিকাল ৪টায় ট্রেনটি টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অথচ এই সময় ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে চিলাহাটি পথে ফুলবাড়ি স্টেশনে ক্রস করার কথা ছিল।
সুত্র মতে, ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুরে পৌছানোর পর সেটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিলাহাটি অভিমুখে ছেড়ে আসবে। যাত্রী সাধারন বলছেন ঈদের পর থেকেই ট্রেনটি তিন/চার ঘন্টা বিলম্বে চলছিল। তিন্তু এই বিলম্বটি ধীরে ধীরে ১১টা ঘন্টা ছাড়িয়ে যায়। ফলে ১১ ঘন্টার উপরে ট্রেনটি বিলম্বে চলাচল করায় সাধারন যাত্রীরা দিশাহারা হয়ে পড়ে। এই ট্রেনের চিলাহাটি, ডোমার, নীলফামারী ও সৈয়দপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা প্লাটফর্মে অথবা আবাসিক হোটেলে রাত্রীযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
নীলফামারী স্টেশন মাস্টার রতন সরকার আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনটি ১১টার উপরে বিলম্বে চলাচল করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের চিফ সিগন্যাল এন্ড টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, চিলাহাটি ঢাকা-চিলাহাটি রেলপথের অনেক রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুটি ট্রেনের ক্রসিং দিতে বিলম্ব হচ্ছে ট্রেনের সময় সূচী। তবে নীলসাগর ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল রবিবার। যেহেতে ট্রেনটি বিলম্বে চলছে সেহেতে শনিবারের রাতের যাত্রীদের নিয়ে ট্রেনটি ররিবার সকালে ঢাকা ছেড়ে যায়। তবে সোমবার থেকে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে পারবে।