ঘটনাটি ঘটেছে ১১ জুন সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের পূর্ব মান্দ্রাইন গ্রামে। এ ঘটনায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের পূর্ব মান্দ্রাইন গ্রামে জমি সংক্রান্ত জের ধরে সাবিনা নামের এক গৃহ বধূকে মুখ ও বুকে গরম পানি ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে ঝলসে দিয়েছে পাষন্ড জ্যা আমেনা বেগম ওরফে ময়না বুড়ি। গত ১১ জুন সকালে বাড়ি সংলগ্ন সাবিনা বেগমের স্বামী গোলাম রব্বানীর বসত ভিটায় লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির ৭/৮ টি গাছ দা দিয়া কোপাইয়া ও ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া ক্ষতি সাধন করিতে থাকে ময়নাবুড়ি ও তার স্বামী তরিকমিয়া । সাবিনা বেগম তাদের বাধা নিষেধ করিলে ময়না বুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সাবিনা বেগম কে বাশ দিয়ে বুকে পিঠে, হাতে-পায়ে ও মাথায় মার ডাং করে। সাবিনা বেগম মাথা চাপিয়া মাটিতে পড়িয়া যায়। সে সময় ময়না বুড়ি তার বাড়িতে গিয়ে উনুনে থাকা ফুটন্ত গরম পানি মধ্যে মরিচের গুড়ো মিশিয়ে সাবিনা বেগমের মুখে ও বুকে ছুড়ে দেয়। এতে সাবিনার মুখ ও বুক দগ্ধ হয়ে ঝলসে যায়। এ সময় ময়না বুড়ি ও তার স্বামী সাবিনা বেগম কেগলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে। সাবিনা আত চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটেএসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে ময়না বুড়ি ও তার স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সাবিনা অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেভর্তি করাহয়। সে এখনরংপুর মেডিকেলকলেজহাসপাতালেবার্ন ইউনিটেরনিচতলার ৩৭ নংওয়ার্ডের ৪নং বেড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
সাবিনার ভাই প্রতিবন্ধি সাইদ মিয়া বলেন, ঘটনার পর পরেই পুলিশ মামলা নিলে ও আসামী গ্রেফতার বা আমার বোন সাবিনার কোন খোঁজ নেয়নি পুলিশ। সে আরও বলেন, আমি এক প্রতিবন্ধী আমিই আমার পরিবারের বোঝা। তার উপর আমার সুস্থ্য বোন কে আমেনা বেগম ওরফে ময়না বুড়ি পরিকল্পিত ভাবে মুখ ও বুকে গরম পানির সাথে মরিচের গুড়ো মিশিয়ে ছুড়ে দিয়ে ঝলসে দিয়েছে তাকে এখন কে দেখবে। তার উপর তার ছোট ছোট ২ টি মেয়ে রিতু ও রিশা মনি তাদের কি হবে। প্রতিবন্ধি ভাইয়ের আতœনাদে রংপুর মেডিকেল কলেজের আকাশ বাতাস যেন ভারি হয়ে গেছে।
সাবিনা বেগমের ছোট শিশু রিতুমনি (১০) বলেন, আমার মাকে আমার চাচী ময়না বুড়ি আমার সামনে মরিচ মিশানো গরম পানি মুখে ঢেলে দেয়। তখন আমার মা যন্ত্রনায় চিলা চিলি করতে থাকে। আমি আমার মায়ে যারা এ অবস্থা করেছে আমি তার বিচার চাই।
রংপুর মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মারুফুল ইসলাম জানান, সাবিনার শরীরের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে সুস্থ্য করার আমরা যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি। তবে তার মুখের অবস্থা আগের মত ফিরানো যাবেনা। তদন্তকারী অফিসার আবুবক্কর ফকরুল আলম জানান ঘটনাটি তদন্ত করছি। আসামী কে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে গংগাচড়া থানার ও সি সুশান্ত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্ত এবং আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানায়, আটক কৃত আসামী মূসা মিয়া দীর্ঘদিন থেকে রংপুর নগরীর মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।