মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শত শত শিক্ষক-শিক্ষিকা এই কর্মসুচীতে অংশ নেন। শেষে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। বেসরকারী কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম এই কর্মসুচীর আয়োজন করে।
সংগঠনটির রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ সুজন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাহিগঞ্জ কলেজ শাখা সভাপতি শেখ ওয়াজেদুল ইসলাম রাজু, নাজমুল হুদা সিদ্দিকী রাজু, শ্যামপুর ডিগ্রী কলেজ শাখা সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম সেলিম, বদরগঞ্জ মহিলা কলেজ শাখা সভাপতি শাজাহান আলী, মাওলানা কেরামত আলী কলেজ শাখা সভাপতি এরশাদুল হক, মনিরা আক্তার, পল্লবী রায়সহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে এবং সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ এর অধ্যায়, ০৮ কৌশল ০৬ বাস্তবায়নে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে বেসকরকারী কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকবৃন্দ। কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ না থাকায় আমরা এমপিওভুক্ত হতে পারছি না। ফলে আমরা ৩৫০০ (সাড়ে তিন হাজার) জন শিক্ষক মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বক্তারা বলেন, ডিগ্রি পাশ কোর্সের ৩য় পদেও শিক্ষকগণ ‘জনবল কাঠানো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ তে না থাকলেও তারা অন্তভুক্তি হয়ে এমপিওভুক্ত হতে পারছেন। কিন্তু অনার্স মাস্টার্সের শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শিক্ষামন্ত্রনালয় তা বাস্তবায়ন করছে না। কী কারণে শিক্ষামন্ত্রনালয় আমাদের উপর এমন অবিচার করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এমপিও ভুক্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে আমাদের জন্য বরাদ্দ চাইলে আমরা সারাদেশে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদেও জন্য মাত্র ১০৪ কোটি ৯ লাখ টাকার হিসেব দেই। সরকারের এই স্বপ্ল টাকায় সারা দেশের সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক পরিবার সামাজিকভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। ।
আমরা চাই, মানবেতর জীবন যাপন করা শিক্ষকদের দ্রæত এমপিও ভুক্তি করে সমাজে বেঁচে থাকার অধিকারটুকু নিশ্চিত করবে এই প্রত্যাশা আমাদের।