ওই নারীর অভিযোগ, পৌরসভায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করেছেন বলে বুধবার পার্বতীপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান ওই নারী। এ সময় তিনি দ্রুত পৌর মেয়রকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
পুলিশ ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযোগকারী নারী জানান, পৌরসভায় মাস্টাররোলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মেয়র মেনহাজুল হক তাকে গত ২৯ জুন সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে নিজ বাসায় ডেকে নেন। সরল বিশ্বাসে মেয়রের বাসায় গেলে তাকে পৌরসভার কেয়ার অফিসসংলগ্ন পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থানরত এরশাদ ও রবি নামে দু'জন ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলে এবং তিনজনই তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়র অন্যদের বলেন, তাকে মেরে পুকুরে ফেলে দিতে। নইলে পরে মামলা করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী জানান, তাকে হত্যা করতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো চাকু দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে আসামিরা। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখের ওড়না সরে গেলে চিৎকার করেন তিনি। চিৎকার শুনে পথচারীরা এগিয়ে এলে মেয়র ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন তাকে জখম অবস্থায় পার্বতীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মোহাম্মদ জুবায়ের মক্কি জানান, ভিকটিমকে বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্বতীপুর পৌর মেয়র মেনহাজুল হক জানান, তাকে ফাঁসানোর জন্য ওই নারী ধর্ষণের মামলা করেছেন।