স্টাফরিপোর্টার নীলফামারী ৭ জুলাই॥ নীলফামারী সদরে জমির বিরোধের জেরে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের নারী সদস্যের ওপর হামলা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গীমোড়ে এলাকাবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সংগলশী ইউনিয়নের সভাপতি তরণী কান্ত রায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান শাহ বুলাল, সাবেক ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা, ক্রীড়া সম্পাদক বিদ্যুৎ রায়, স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত ধীমান সাধু প্রমুখ।
বক্তারা জানান, জমির বিরোধের জেরে গত শুক্রবার বেলা ১০টার দিকে জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের বড় এলোকমারী গ্রামে নিপেন্দ্র নাথ রায়ের (৫০) বাড়িতে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে পার্শ্ববর্তী চড়াইখোলা ইউনিয়নের দালালের বাজার গ্রামের মজিবর রহমান ও তার লোকজন। এসময় বর্বর কায়দায় নিপেনের স্ত্রী রঞ্জনা রাণী রায় (৪৫) অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে নীপা রাণী রায়কে বিদ্যুতের খুটিরসাথে বেধে নির্যাতন করে। তারা বলেন, আমরা ওই অমানবিক হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নবম শ্রেণীর ছাত্র নিপেনের ছেলে উত্তম কুমার রায় বলেন, ওই ঘটনার আগে তারা কৌশলে মামলা দিয়ে আমার বাবাকে হাজতে ঢুকায়। এর তিনদিন পর বাবার অনুপস্থিতিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের হামলায় আহত হয়ে আমার মা এবং বোন হাসপাতালে রয়েছেন। এখন তাদের হুমকীতে আমিও বাড়িছাড়া হয়েছি।
শেষে মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারীরা।
এলাকাবাসী জানায়, ৩০ শতক জমির বিরোধ নিপেন্দ্র নাথ রায় ও মজিবর রহমানের মধ্যে। গত শুক্রবার মজিবর রহমান জমি দখল দিতে গেলে ওই হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিপেনের বড়ভাই সুনীল রায় (৫৫) বাদি হয়ে নামীয় নয় জন এবং অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নীলফামারী সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ওই মামলায় আনোয়ার হোসেন ও মো. শরীফ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আনোয়ার মজিবর রহমানের ছেলে এবং শরীফ নিকট আত্মীয়।
সদর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।