শ্রমিকদের সূত্র জানা গেছে, দুরপাল্লার চেয়ারকোচগুলোর কাছে জেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ার সময় নানা ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিদিন পূর্বের ১৮০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ টাকা করে দেয়ার দাবি জানায় তারা। সেইসাথে শ্রমিকরা মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধেরও দাবি জানায়। এ নিয়ে গাইবান্ধা জেলা পর্যায়ের মালিকদের সাথে শ্রমিক সংগঠনের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে গত ৬ জুলাই থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সাথে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। ফলে একদিন পরেই গাইবান্ধা থেকে ঢাকার চেয়ারকোচ চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জেলা মটর মালিক সমিত্রি সুত্রে জানা গেছে। কিন্তু ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে শ্রমিক সংগঠনের মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ, বর্ধিত চাঁদা প্রদান, সড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা বিধানসহ অন্যান্য বিষয়ে নিস্পত্তি না হওয়ায় তারা গাইবান্ধায় একটানা পাঁচদিন যাবত চেয়ারকোচগুলো চলাচল বন্ধ রেখেছে।
এদিকে ৭টি পরিবহন কোম্পানীর প্রতিদিন গড়ে যেখানে ৪টি থেকে ৬টি পর্যন্ত চেয়ারকোচ গাইবান্ধা-ঢাকায় চলাচল করতো। সেখানে একটানা পাঁচদিন যাবত ওই সাতটি পরিবহনের সকল চেয়ারকোচ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে গাইবান্ধার সর্বস্তরের বাসযাত্রীদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে গাইবান্ধা-ঢাকায় বন্ধ থাকা চেয়ারকোচ চলাচল অবিলম্বে চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।