আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

রংপুরের তিন উপজেলার কুড়ি হাজার মানুষ পানিবন্দী

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯, রাত ০৯:৪৩

এদিকে পানি বৃদ্ধিসহ সব পয়েন্টেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতীরবর্তী ও তীরাঞ্চল ছাড়াও মহানগরীর বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার কুড়ি হাজার পরিবারের মানুষজন। এদিকে কাউনিয়ার দ্বীপ চর ঢুষমারা চরে কয়েক শত মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। অনেকে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বাড়ি ঘড় নৌকায় তুলে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচেছ।সেখানকার মানুষজনকে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।অব্যহত পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে বিভিন্ন ঘরবাড়ি গাছপালা সহ আবাদী। পানি বৃদ্ধির কারণে ছোট খাট ব্রীজ কলভার্ট গুলো ভেঙ্গে পড়ায় স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রি নিয়ে চরাঞ্চল এলাকায় যাবেন তারও উপায় নেই।

রংপুর পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মেহেদী হাসান জানান, ডালিয়া পয়েন্টে সর্বচ্চো পানি উঠানামা করছে। বর্তমানে ডেঞ্জার পয়েন্টের স্থলে বর্তমানে সেখানে ২৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে পানি উঠানামা করছে। অর্থাৎ ডেঞ্জার লেবের ২৫ পয়েন্ট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা কাউনিয়ার ৫০ দশমিক ৯ পয়েন্টের স্থলে ৫২ দশসিক ২৫ পয়েন্ট উপর দিয়ে পানি উঠা নামা করছে। বৃষ্টি আর দু’চারদিন লাগাতার হলে ভয়াবহ বন্যার আশংকা দেখা দিতে পারে।

এদিকে কখনও ভারি কখনও হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকায় চলাচলে মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়েছে স্থানীয়রা।এছাড়াও নগরবাসীরা ঘর ছেড়ে বের হতে পারছেন না। সবকিছু মিলিয়ে বৃষ্টিপাতের কারণে এক ধরণের স্থবিরতা নেমে এসেছে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে। সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার চরের ১৫ টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সেখান কার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল বেরিবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।এছাড়া একই উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইসলী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মুটুরকপুর, নোহালী ইউনিয়নের বাঘডোহরা, চর নোহালী, কচুয়া এলাকার প্রায় ৫’শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। এদিকে একই অবস্থা জেলার কাউনিয়া চার ইউনিয়নও পীরগাছার তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন চর এবং নিম্নাঞ্চলের।

কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ পনি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ইউপির বিশ্বনাথ, চর গনাই, হয়বত খা,চরগনাই, ঢুষমারা চর, তালুৃক সাহাবাজ সহ কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। অনেক এলাকার স্কুল মাদ্রাসার মাঠে পানি জমে থাকায় সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় বিঘ্নিত ঘটছে।

লক্ষীটারী ইউনিয়েনর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি জানান, তিস্তার পানি হঠাৎ বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের বিভিন্ন চর এলকার অন্তত ১০ হাজার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ছোট খাট বহু ব্রীজ কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন চরাঞ্চলের আবাদী জমি ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি গবাদি পশু ও হাস মুরগি নিয়ে চরম আশংকা করছেন কষক-গৃহস্থরা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied