সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে বিদিশা লিখেছেন, ‘আমি ও তাই চাই লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীদের মতো রংপুরের মাটি যেনো হয় এরশাদের শেষ ঠিকানা। সহধর্মীনী থাকতে বহুবার পল্লী নিবাসে বারান্দায় ছেলে এরিক কে কোলে বসিয়ে উনি আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমার ছোট, দেখ আমার মৃত্যুও যেন আমার ছেলের কাছে থেকে দূরে না রাখে। আমার কবর আমি এই পল্লী নিবাসে চাই। রংপুরের মানুষের ভালোবাসা প্রতিদান আমি দিতে পারিনি আজও। রংপুরের মানুষ আমার কবরে এসে দোয়া করবে এটাই আমার চাওয়া। প্রতিবার এই কথাটি বলতেন তিনি এরিকের দিকে তাকিয়ে, ভিজে চোখে।’
বিদিশা আরো বলেন, ‘আজ সদ্য বাবা হারা ছেলে আমার মায়ের আশ্রয়েও নেই। এরিকের চোখের পানিতে পাথর ও গলে যায় কিন্তু গলে না রাজনীতিবিদদের মন।আমার ছেলে এরিক কে আটকিয়ে রাজনীতি কোন ফায়দা লুটবেন এনারা?’
দেড় দশক আগে বিদিশার সঙ্গে এরশাদের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র ছেলে শাহতা জারাব (এরিক এরশাদ)। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে এরশাদ ও বিদিশার বিচ্ছেদ ঘটে। রোববার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ১০ দিন ধরে এই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। গত ৪ জুলাই থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এরশাদ। তিনি রক্তের রোগ মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে ভুগছিলেন। তার আগে গত ২২ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়।