লক্ষ্যনীয়-প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের মাঝে শুরু হয়েছে র্নিঘুম ব্যস্ততা। সম্মেলনে রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। এ ২টি গুরত্বপূর্ণ পদে ত্যাগী ও দলের জন্য পরিশ্রমী নেতাকে বেছে নিতে ইতোমধ্যে ভোটাররা চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন। নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডের ১৫ জন কওে মোট ৪শত ৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আগামী শনিবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল ১১টায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলন উদ্বোধন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন।
রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সুত্রে জানা গেছে, এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একারণে প্রার্থীরা সব সময় থাকছেন ভোটারদের কাছে। সকাল থেকে রাত অবধি নিজের কর্মকাÐ জাহির করছেন ভোটারদের কাছে। সকলেই নিজের পক্ষে ভোট চাইছেন এবং জয়ী বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবার সম্মেলনে সভাপতি পদে হারুন অর রশিদ হারুনসহ ৩ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মুরাদ হোসেন ও হারাধন রায় প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। সম্মেলনের দিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। সম্মেলনে প্রধান বক্তা থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি, একেএম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এম.পি, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ জেলা ও মহানগর নেতাকর্মীরা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে দলীয় সুত্র জানিয়েছে।
আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, এবার ৬ বছর পরে আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ বিরাজ করছে। দলের দু:সময়ে আমি ছিলাম। নেতাকর্মীরা তাদের সমস্যা ও সুবিধায় আমাকে পেয়েছে। আমি সকল সময়ে দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমত কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। দলের কান্ডারী হিসেবে সকল সময়েও আমি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছি। দলের এ সুসময়েও প্রতিটি নেতাকর্মী আমাকে চায়। একারণে আমি ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করছি। ভোটে জয়ী হলে তৃণমুল ত্যাগী নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন করা হবে।
ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীদের বিষয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটাররা বলেন, আমরা বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচীতে হারুন ভাইকে কাছে পেতাম। বিভিন্ন সমস্যায় তিনি আমাদের ভরসা দিতেন। সকল নেতাকর্মী আমাদের পাশে থাকলেও হারুন ভাই আন্তরিকভাবে করেন। আমরা প্রার্থী বিশ্লেষণ করলেও হারুন ভাই এগিয়ে রয়েছে। উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে সংগঠকের ভুমিকায় সবসময় হারুন ভাইকে আমরা কাছে পেয়েছি।
এদিকে আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরী। সম্মেলনকে ঘিরে উৎসাহ থাকলেও অনেকের মাঝে রয়েছে উৎকন্ঠা। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ঘোষিত প্রথমে গত ১৩ জুলাই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়। কিন্তু এরপর রংপুর মহানগর যুবলীগ দুটি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ চালালে কেন্দ্র থেকে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে তারিখ নির্ধারণ করে। এর পরেও একটি গ্রæপ ওয়ার্ড যুবলীগের ভোটার তালিকা হতে সদস্যদের তথ্য যাচাইসহ পুন: সংশোধনের দাবি তুললে অবশেষে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ২০জুলাই শনিবার তারিখ নির্ধারণ করেন। এতে ২গ্রæপই মেনে নিয়ে কাউন্সিলের সম্মতি প্রকাশ করে প্রস্তুতি নেয় এবং প্রচারে নেমে পরে।
