আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

আপনিই আমার অভিভাবক- রওশনকে জিএম কাদের

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯, রাত ০৮:৪৫

এরশাদের দিয়ে যাওয়া লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিএম কাদের বৃহস্পতিবার জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এতে প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করলেও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রওশন। চেয়ারম্যান হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রওশন ইত্তেফাককে বলেছিলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমি চিন্তা করছি, চিন্তা করে আমি আমার বক্তব্য দেব।’এতে নেতৃত্ব প্রশ্নে ভাবি-দেবরের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

দ্বন্দ্ব মেটাতে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে রওশনের বাসায় যান জিএম কাদের। সেখানে আরও দু’তিনজন যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সূত্রে জানা গেছে, বাসায় ঢুকে রওশনকে পায়ে ধরে সালাম করেন কাদের। এ সময় জিএম কাদের বলেন, ‘আপনি আমার মাতৃতুল্য, আমাকে দোয়া করে দিন, ভাইকে হারিয়ে আজ আমি অভিভাবক হারা, ভাই নয়-আমি আসলে আমার পিতাকে হারিয়েছি, এখন আপনিই আমার অভিভাবক, আপনার দিকনির্দেশনা নিয়েই আমি ভাইয়ের রেখে যাওয়া দলকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই।’ কাদেরের আবেগঘন কথায় আবেগাপ্লুত হন রওশনও। এ সময় তিনি দেবরের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।

এরপর দেবরকে নিয়ে খাওয়ার টেবিলে যান রওশন। তারা একসাথে দুপুরের খাবার খান। তখন জিএম কাদেরকে রওশন একটু বকাঝকাও করেন। বলেন, ‘তুমি এভাবে কাজ করছো কেন, এভাবে কী দল চালানো যায়, তুমি তো আমার সাথে পরামর্শ করতে পারতে।’ জিএম কাদের তখন মৃদু গলায় বলেন, ‘আপনার সাথে আগে কথা বলা উচিত ছিল।’ পরে জিএম কাদের নিজ থেকেই বলেন, ‘ভাইয়ের অবর্তমানে এখন আমাদের পরিবারকে এক থাকতে হবে, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে, আমরা এক না থাকলে অন্যরা সুযোগ নেবে।’ রওশনকে তিনি বলেন, ‘আপনি আগেও বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন, বিরোধীদলীয় নেতা আপনি হোন-আমার আপত্তি নেই, আমি বাইরে দলের দায়িত্ব পালন করি।’ তখন রওশন বলেন, ‘এটা তো হতে পারে’।

রওশনের বাসা থেকে বেরিয়ে জিএম কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পার্টির বর্তমান কমূসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। ভাবি আমাকে আশির্বাদ করেছেন, তিনি আমার মাতৃতুল্য ও আমার অভিভাবক। তার পরামর্শে জাপাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। জাপায় অনৈক্য ও বিভেদের কোনো স্থান নেই। সবাইকে নিয়েই জাপা গণমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এগিয়ে যাবে।’

রওশনের বাসায় বৈঠকের পর বাদ আসর বারিধারা জামে মসজিদে মরহুম এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়ায় শরিক হন জিএম কাদের। জাপার সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও সাদ এরশাদ এতে অংশ নেন।

এদিকে, শনিবার সকালে বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাপার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভা শেষে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাপায় কোনও বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা নেই। পার্টির ৯৯ ভাগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিটি কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছেন। যৌথ নেতৃত্বে পার্টিকে আরও সুসংহত ও শক্তিশালী করা হবে।’ এই বৈঠকে রওশনসহ দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অনেকেই যাননি। বৈঠকে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জাপা চেয়ারম্যান। জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম, আবুল কাশেম, সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সল চিশতি, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, শেখ সিরাজুল ইসলাম, সোলায়মান আলম শেঠ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied