সেন্ট্রাল ডেস্ক: সান্তাহার-লালমনিরহাট রেল রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। দশ দিন যাবত ঢাকার সঙ্গে বন্ধ রয়েছে গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের ট্রেন চলাচল। তবে বিকল্প রুটে এই রুটের কিছু ট্রেন চলাচল করছে।কিন্তু বন্ধ রয়েছে সরাসরি ট্রেন চলাচল।শীঘ্রই এই ট্রেন চলাচল শুরু না হলে আসন্ন ঈদুল আযহার ছুটিতে রেলপথে চার জেলার মানুষ বাড়ি ফিরতে বিড়ম্বনার শিকার হবেন।
গাইবান্ধার স্টেশন মাস্টার মো. আবুল কাশেম জানান, এই রুটে চলাচলকারী করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখন সান্তাহার থেকে গাইবান্ধার বোনারপাড়া পর্যন্ত চলছে। দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিনাজপুর থেকে গাইবান্ধা, সেভেনআপ ও এইট ডাউন মেইল ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত সাময়িক চলাচল করছে। এদিকে রংপুর ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি কাউনিয়া-পার্বতীপুর-সান্তাহার রুট ব্যবহার করে ঢাকায় যাওয়া-আসা করছে। অন্যদিকে, ১৯/২০ বগুড়া এবং পদ্মরাগ ট্রেন দুটি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রেললাইন সচল না হওয়া পর্যন্ত এ রুটের ট্রেন গুলো এভাবেই চলবে।
আবুল কাশেম আরও বলেন, এই রেল রুটের গাইবান্ধার বাদিয়াখালি রেলস্টেশন থেকে ত্রিমোহনী রেলস্টেশন ছয় কিলোমিটার রেলপথের ওপর থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে এই রেল পথের ৭টি স্থানে স্লিপার পাথর ও মাটি সরে গিয়ে রেল লাইন ঝুলে আছে। এছাড়া একেকটি স্থানে ১৫ থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রেল শ্রমিকরা এ গুলো মেরামত করতে দিনরাত কাজ করছেন। মেরামত করতে আরও ২০ দিন সময় লাগতে পারে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, রেলপথ কবে স্বাভাবিক হবে সে ব্যাপারে এখনই সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ঈদুল আজহার আগেই যাতে ট্রেন চলাচল সম্ভব হয় সে ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।