আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যালঘু পরিবারকে অর্পিত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৩, বিকাল ০৬:২২

বুধবার দুপুর ১২টায় জি.এল. রায় রোডের নিজ বাসভবনে বৃদ্ধা কমলা রানী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯৭১ সালে পাক সেনাদের নির্মম নির্যাতনে শহীদ পুত্র বাবলু কুমারের মাতা হিসেবে আমি রংপুর নগরীর জি.এল.রায় রোডে ভিপি কেস নং ২৬৪/৭১, মৌজা- রাধাবল্লভ, খতিয়ান নং-৫২৩, দাগ নং-২১২৪, ১১ শতক জমিতে আধাপাকা বাড়িতে সুদীর্ঘ ৪১ বছর ধরে ৫ ছেলে, ৩ মেয়ে ও তাদের সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছি। আমার স্বামীর অবর্তমানে হিন্দু পরিবারের রীতি অনুযায়ী পরিবারের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন দিলীপের নামে সরকার ওই ১১ শতক জমি বরাদ্দ দেন। আমার বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলিপ কুমার সরকার ১৯৭৯ সালে নূরজাহান বেগম নামে একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন এবং মোঃ কামাল হোসেন দিলীপ নামকরণ করেন। কিন্তু ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর থেকে আমাদের পরিবারে ধর্মীয় রীতি-নীতি বিষয়ে একই অন্নে, একই বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করা নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। বড় ছেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ফলে ইতোমধ্যে বিগত ২৬-০৮-১৯৯৬ইং সালে বরাদ্দকৃত সম্পত্তি তার নামের লীজ পরিবর্তন করে আমাদের সকলের জন্য দীর্ঘস্থায়ী লিজ বন্দোবস্ত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর নিজেই আবেদন করেন।

পরবর্তীতে কামাল বেশ কয়েকটি বিয়ে করে একেক স্ত্রীকে একেক জায়গায় রেখে উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতে থাকে। কামালের নৈতিক স্খলনজনিত নানা কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে সে প্রায়শই ঝগড়া-বিবাদ বাধিয়ে আমাকেসহ ভাই-বোনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করার জন্য তেড়ে আসতো। এবং আমাদেরকে প্রায় সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলতো। এমনি সময় কামালের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব আরো বেড়ে যাওয়ায় সে ২০০৯ইং সালের ১৩ অক্টোবর ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এক অঙ্গিকারনামা সম্পাদন পূর্বক আমার ছেলে-মেয়েদের কাছে নগদ ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে জমির দাবি ছেড়ে দেয়। টাকা হাতিয়ে নেয়া হাছিল হলে পরবর্তীতে আমার ৪ ছেলের নামে রংপুর কোতয়ালী থানায় হয়রানীমূলক মামলা করে। উপরন্তু; কামাল আমাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ভাড়াটে গুন্ডা-সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে বাড়ি ও জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। এমন কি এ ধরনের সরকারী সম্পত্তি বিক্রির বিধান না থাকলেও আমরা পরস্পর জানতে পারি কামাল শহরের বেশ কয়েকজনের কাছে টাকা নিয়ে এই জমি তাদেরকে দখল দেয়ার চেষ্টা করছে।

এমতাবস্থায় তার অত্যাচার থেকে পরিত্রান পেতে আমিসহ আমার ছেলে-মেয়েদের রক্ষায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ওসিসহ বিভিন্ন প্রশাসনের দ্বারস্থ হই। এ ঘটনাকে আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসন এক নোটিশের মাধ্যমে গত ২৮-০৮-২০১২ইং তারিখে শুনানীর জন্য আমাকেসহ আমার ৪ ছেলে এবং কামাল হোসেনকে এডিসি রাজস্ব তাঁর অফিসে ডাকেন। আমরা যথারীতি হাজির হলেও কামাল ওই শুনানী অগ্রাহ্য করে। অবশেষে আমরা বাধ্য হয়ে গত ০৯-০৭-২০১৩ ইং তারিখে আমাদের দির্ঘ বসবাসরত নিজ দখলীয় বর্নিত সম্পত্তি আমি কমলা রানী সরকার, আমার ছেলেÑ তাপস সরকার, নন্দ দুলাল সরকার, বিপ্লব সরকার ও বিশ্বজিৎ সরকার পুর্বের লীজ গ্রহিতার নাম পরিবর্তন করে আমাদের নামে লীজ বরাদ্দ চেয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসকের নিকট যথারীতি আবেদন করি।

সংবাদ সম্মেলনে কমলা রানী উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে কান্নাজড়িতকন্ঠে বলেন, আমি একজন শতবর্ষী বৃদ্ধা। বার্ধক্যজনিত শারীরিক অক্ষমতায় বর্তমানে নানা অসুস্থতায় প্রায় শয্যাশায়ী। আমার জীবদ্দশায় আমার অসহায় ছেলে-মেয়েদের নামে লীজ বরাদ্দ দেখে মরতে চাই। তাই, এ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে একসনা লীজ বরাদ্দের আবেদন জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের ওপর নির্যাতনকারী এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ের নায়ক লম্পট চরিত্রহীন কামাল হোসেন দিলীপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied