রংপুর বিভাগীয় বৃক্ষমেলা-২০১৯ সমাপনী অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম ।
তিনি বলেন, গাছ আমাদের ছায়া দেয়, ফল দেয় এবং বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান অক্সিজেন দেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ১০টি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেখানে পরিবেশ সুরক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আমাদের বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত জরুরী। তাই আসুন আমরা সকলেই বৃক্ষরোপণ করি।
রংপুরে বিভাগীয় বৃক্ষমেলার সমাপনী দিন হয়ে গেল রংপুর জিলা স্কুল মাঠে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তরিকুল ইসলাম। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক মোঃ আফতাব হোসেন, রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্, সদর রেঞ্জ অফিসার মোশাররফ হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার এনামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মোঃ মারুফ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, মহানগর নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম মামুন, রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান মোঃ মিজানুর রহমান। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রংপুর বেতারের উপস্থাপক হামীম।
সামাজিক বনায়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে এমন ১০জন অংশগ্রহণকারী উপকারভোগী সদস্যগণের মধ্যে গাছ বিক্রির লভ্যাংশ হতে প্রত্যেককে ৯৮০৪৮ টাকা ৫২ পয়সার চেক বিতরণ করা হয়। এরপর উচ্চশিক্ষিত একদল বেকার যুবক যারা সফল উদ্যোক্তা হতে চায় সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডেওে মাধ্যমে, সামাজিক বনায়নে সক্রিয় অংশগ্রওহণের স্বীকৃতিস্বরূপ বদরগঞ্জের ‘বন্ধু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ’-কে সামাজিক বন বিভাগ, রংপুরের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের হাত থেকে স্মারকটি গ্রহণ করেন সংগঠনের সভাপতি শাহজাহান আলী। এরপর বিভাগীয় বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহণকারী নার্সারি মালিকদেও মধ্যে থেকে প্রথম তিন নার্সারি মালিককে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়। সবশেষে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে একটি করে ১টি ফলজ, ১টি বনজ ও ১টি ঔষধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়।