আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুর-৩ আসনে ‘প্রার্থী হচ্ছেন’ শাদ এরশাদ

বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯, দুপুর ১০:১৩

জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানান।

দলের ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘রংপুরের মানুষ এরশাদকে কেমন ভালোবাসেন তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। তার জানাজায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। পার্টি চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে পুরো রংপুর এখনও শোকে কাতর। তার শূন্য হওয়া আসনে শাদ এরশাদই হতে পারে একমাত্র যোগ্য উত্তরসূরী। তবে সবকিছু যাচাই-বাছাই চলছে। আশা করি, আমরা আমাদের চেয়ারম্যানের এই আসনে উপযুক্ত প্রার্থী দিতে পারব।’

এরশাদের মৃত্যুতে গত ১৪ জুলাই রংপুর-৩ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শিগগিরই রংপুর-৩ আসনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

রংপুর-৩ কে বলা হয় জাতীয় পার্টির ঘাঁটি । ৯০ সালের পর থেকে এ আসনটি এরশাদের একচেটিয়া দখলে রয়েছে। তাই জাতীয় পার্টির হাইকমান্ড চাইছে, এ আসনে এমন কেউ আসুক যিনি আসনটিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন। তবে শাদ এরশাদ প্রবাসে থাকায় রংপুরে তেমন যাওয়া-আসা নেই তার। এ বিষয়টিও ভাবছে দলের হাই-কমান্ড। শাদ এরশাদের বিকল্প হিসেবে এরশাদের ভাই হুসেইন মুহাম্মদ মোর্শেদের কথা উঠে এসেছে প্রার্থীর তালিকায়।

সম্ভাব্য এই দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাড়াও এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারের নাম রয়েছে আলোচনায়। এরশাদের এই ভাতিজা রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন থেকে এর আগে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন শাহরিয়ার আসিফ। সে সময় তাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি আসন পায় এরশাদের জাতীয় পার্টি। পরে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

উল্লেখ্য,বার্ধক্যজনিত কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৪ জুলাই সকালে মারা যান। ১৬ জুলাই তাকে পল্লী নিবাসে দাফন করা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied