মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ওই উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মেছনী পিয়াজুপাড়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ রুনা আক্তার (২৫) উপজেলার ধনতলা গ্রামের হুসেন আলীর মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর মা শামসুন্নাহার জানান, ৬ বছর আগে ৬ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মেছনী পিয়াজুপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মোশারফ তার মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে একটি মোটরসাইকেল চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে বিচার-সালিসও হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। রুনা অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাব্বেরুল হক উত্তরবাংলাকে জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গৃহবধূর পরিবারের লোকজন কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসার আগেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।