আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রংপুরের বিভীষিকাময় এক রাস্তা

বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯, রাত ১০:০৬

রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ শহরের বাহির থেকে এসে এ রাস্তা ব্যবহার করে জেলা জজ কোর্ট, বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, ডিসি অফিস, কাচারী বাজার, সিটি কর্পোরেশন, সিটি বাজার, সুপার মার্কেটসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাতায়াত করে। কেন্দ্রীয় টার্মিনালের আশেপাশের হাজার হাজার মানুষ ব্যবসায়িকসহ প্রাত্যহিক কাজে শহরের অভ্যন্তরে যাতায়াতে এই রাস্তা ব্যবহার করে। মহানগরের নামকরা রংপুর সরকারী কলেজ, পুলিশ লাইন স্কুল ও কলেজ, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, রংপুর জেলা স্কুল পড়ুয়া অসংখ্য শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই টার্মিনাল রোডের কেরানীপাড়া চৌ-রাস্তা মোড় হতে পিটিসি’র (পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার) আর.কে রোড সংযোগ অংশে (যা পিটিসি মোড় নামে পরিচিত) রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে পিটিসি মোড়ের আগের ২০০ গজ অংশ ভয়াবহ। কেরানী পাড়া চৌ-রাস্তা মোড় হতে পিটিসি মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০০০ গজ অংশের বিভিন্ন অংশ ভাঙ্গা। এই অংশের পিটিসি’র কাছে ভাঙ্গা অংশ আরও ভয়াবহ। পিচঢালা মূল রাস্তা খানা-খন্দে ভরা আর রাস্তার দু’পাশে মাটির অংশ এমন এবড়ো-থেবড়ো যেন কোন গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তাও এর থেকে অনেক ভালো। অটো চলার সময় প্রতিবেদকের মনে হয়েছিল, যখন-তখন যেকোন পাশে অটোবাইক উল্টে যেতে পারে। আর বৃষ্টির সময় এই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য।

এই রাস্তার বিষয়ে ষাটোর্ধ্ব রিক্সাচালক বরকত মিয়া বলেন, মুই চল্লিশ বছ্ছর ধরি রিক্সা চালাওছি বাবা। অমপুর শহরত মুই এমন ভাঙ্গা রাস্তা জনমত্ দেখ নাই। মোক হাজার টেকা দিলেও ওই রাস্তাত্ মুই না যাও। এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন কেরনীপাড়া নিবাসী সাব্বির হোসেন। তার ব্যবসা প্রাইম মেডিকেল কলেজ এলাকায়। তিনি বলেন, পিটিসি মোড়ের রাস্তাটি যেন সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউয়ের মত। দুর্বল হার্টের মানুষদের এই রাস্তা দিয়ে না যাওয়াই ভালো। এক কথায় চলাচলের অযোগ্য। বৃষ্টি হলে আমাকে অন্যপথে অনেক ঘুরে কর্মস্থলে যেতে হয়।

স্থানীয় জাকিরুল আলম জিকো বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার সংস্কারের আবেদন জানানো হলেও কার্যকর কোন সমাধান আসছে না।

বেহাল এ রাস্তার বিষয়ে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব মোনতাসির শামীম লাইকো বলেন, বর্তমানে এই রাস্তার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। তবে শহরের কেরামতিয়া মসজিদ মোড় থেকে মুন্সিপাড়া ও কেরনীপাড়া চৌ-রাস্তা মোড় হয়ে পিটিসি মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাব সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকায় সড়কটি টেকসই থাকছে না, তবে এলাকাবাসীকে নিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী রাখার জন্য তিনি সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই রাস্তার বিভিন্ন অংশে পানি জমে থাকে। আর শহরে প্রবেশের মূল সড়কগুলোর একটি হওয়ায় হালকা-ভারী সকল ধরণের যানবাহন চলাচল করায় এই রাস্তা টেকসই হয় না। সেই সাথে থাকে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ও অবহেলায় থাকা এ রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করা হবে কর্তৃপক্ষের কাছে এটিই এই রাস্তা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied