কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সুত্র জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালের কার্ডিওলজি ওয়ার্ডের একটি কক্ষে ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে। এই কর্ণারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার কিডস এর স্বল্পতা রয়েছে।
অন্যদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কুড়িগ্রাম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তিনটি ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধনের কার্যক্রম শুরু করেছে।
জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসারত সদর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের মামুন জানান, আমি ঢাকা পলিটেকনিক এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি বাড়িতে আসার পর জ্বরে আক্রান্ত হই। গত বুধবার কুড়িগ্রামের একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই।
জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়ার আরিফুল ইসলাম (২৮) জানান, আমি ঢাকায় আইসিটিতে প্রশিক্ষনরত ছাত্র। গত ৪দিন আগে বাড়িতে আসি। এরপর জ্বরে আক্রান্ত হই। পরে গত ৩০ জুলাই কুড়িগ্রামে পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ায় আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল জলিল জানান, আমাদের পৌরসভায় কোন ফগার মেশিন ছিল না। তিনটি ফগার মেশিন ঢাকা থেকে এনে সদর হাসপাতাল চত্ত¡র থেকেই মশা নিধনের ঔষুধ ছিটানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এটা পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সকল এলাকায় ছিটানো হবে।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আবু মো: জাকিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে এপর্যন্ত ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী এসেছে। এদের মধ্যে দুইজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। আর ১১জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব রোগী সকলেই ঢাকা থেকে ফিরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।