বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ২২দিন পর সান্তাহার-বগুড়া-গাইবান্ধা-দিনাজপুর রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগের মতই লোকাল, মেইল ও আন্ত:নগরসহ মোট ৯ জোড়া ট্রেন আসা-যাওয়া করেছে । ফলে বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট রুটের যাত্রীদের ভোগান্তিও দূর হয়েছে।
ঈদের আগে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় টিকিট বিক্রি কমে যাওয়ায় শুধু বগুড়া স্টেশনেই রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিদিন গড়ে ৯০ হাজার টাকা করে লোকসান হয়েছে।
গত ২ আগস্ট শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ত্রিমোহিনী-বাদিয়াখালী-বোনারপাড়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন পরিদর্শন করেন এবং জরুরী ভিত্তিতে রেল লাইন মেরামতের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সে সময় গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সম্মুখে ঘোষণা করেছিলেন আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বে ৮ জুলাই থেকে যে কোনমূল্যে উত্তরাঞ্চলের সাথে লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে রেল যোগাযোগ পুনঃ স্থাপিত করা হবে। অতঃপর রেল মন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত মেরামত কাজ সম্পন্ন হয় এবং তাঁর ঘোষিত নির্দিষ্ট দিন থেকেই সরাসরি ট্রেন চলাচল পুনঃ স্থাপিত হয়।
উলে¬খ্য, এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরিদর্শন করেন এবং মেরামত কাজ সার্বক্ষনিক তত্তাবধান করেন।
রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার আপ স্টেশন ত্রিমোহিনী-বাদিয়াখালী-বোনারপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ফুট রেলের মাটি সরে গেছে। এতে করে রেলওয়ের ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।