বৃহস্পতিবার দুপুরে বিপুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র জানান, বিপুল এলাকায় কুখ্যাত ডাকাত হিসেবে পরিচিত। সে সব সময় পীরগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তি উপজেলা সমুহে চুরি ডাকাতি করতো। বিগত ২০০৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা সদরের সুমনা স্টুডিও এন্ড ফটোস্ট্যাটের মালিক ব্যবসায়ি সিরাজুল ইসলামের পাওয়ার টিলার ছিনতাই ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গত ২৮/০৯/২০০৬ ইং সালে সিরাজকে কৌশলে মোবাইলে জমি চাষের পাওয়ার টিলার ক্রয়ে ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল ধাপেরহাটে ডেকে নেয়। পরদিন সাদুল্লাপুরের নিজপাড়ায় সিরাজের লাশ ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ঘটনায় পরে পীরগঞ্জ থানায় ৪৫/২৯-০৯-২০১৬ নম্বরে ডাকাতি ও খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। পরে মামলাটি ৭৯/০৯ নম্বরে বিচারিক আদালতে যায়। এ বছরের ৬ মে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত রংপুরের বিচারক এবিএম গোলাম রসুল বিপুল ও সাইফুলের মৃত্যুদন্ড এবং জহুরুল ওরফে জলিল, শাহানুর, মিলন ও মোফাজ্জলকে যাবতজীবন সাজা দেয়। ইতোমধ্যে মিলনের মৃত্যু হলেও দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা সকলেই পলাতক ছিল। এদের মধ্যে প্রধান আসামি বিপুলকে বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মাসুমুর রহমান মাসুম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শুকুর আলী নেতৃত্বে একদল পুলিশ খেজমতপুর কাজীর আড়া থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে ওসি সরেস চন্দ্র জানান, বিপুলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে, সে এলাকায় কুখ্যাত ডাকাত হিসেবে পরিচিত।