সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেকথাই প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। বিদ্যা বলেন, ‘যদিও পুরোনো কথা, তবে এটি ছিল অত্যন্ত ভয়ংকর ও আতঙ্কের বিষয়।’
ইন্ডিয়া টাইমসসহ ভারতের শীর্ষস্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘মিশন মঙ্গল’ ছবি করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বিদ্যা। ছবির মুক্তির পর একটি সংবাদসংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই নানা কথা বলতে গিয়ে কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।
বিদ্যা বলেছেন, ‘আমার একটা দিন মনে পড়ছে চেন্নাইয়ে, এক পরিচালক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম, চলুন কফি শপে বসে কথা বলি, কিন্তু তিনি ক্রমাগত আমাকে বলছিলেন হোটেল রুমে যেতে। আমি উঠে আমার ঘরের দরজাটা খুলে দিয়েছিলাম, তার পরই পাঁচ মিনিটে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে।’
‘ডার্টি পিকচার’ খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘একবার একজন লিখেছিল, বিদ্যা যা সব ড্রেস পরে তাতে কোনো ব্যবসা তো দূর, ঘরে বসে থাকা উচিত।... এই কথাটা আমাকে অনেকদিন তাড়িয়ে বেরিয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর রাগ হতো। তবে এখন এই কথাগুলো আমাকে ছোঁয় না।’
বিদ্যা জানান, তামিলে প্রায় ১২টি ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবই হয়েছিল মৌখিকভাবে পাওয়া কাজ। কোনো লিখিত চুক্তি ছিল না বলে অন্য নায়িকাকে নিয়ে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার বাবা-মা চেন্নাই এসে এক প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই প্রযোজক কয়েকটি ক্লিপ দেখিয়ে বলেছিল, ওকে কি কোন দিক থেকে নায়িকা মনে হয়?’
মায়ের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে প্রায় ছয় মাস আয়নায় মুখ দেখতে পারেননি বলেও জানান বিদ্যা। তিনি বলেন, সেসময় নিজেকে অত্যন্ত কুৎসিত মনে হয়েছিল তার।
‘দম মারো দম’, ‘উরুমি’, ‘সালাম-এ-ইস্ক’, ‘হল্লা বোল’, ‘ববি জাসুস’, ‘কিসমত কানেকশন’, ‘তুমহারি সুল্লু’, ‘কাহানি’ ইত্যাদি বহু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন বিদ্যা। এ ছাড়া একাধিক দক্ষিণের ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।