অফিস আদেশে জানানো হয়, কর্মচারী মাসুম খান প্রকাশ্যে মাইকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ নানা ধরণের বাজে ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করেন। ঐ শিক্ষককে অপপ্রচারকারী, অবৈধ, দুস্কৃতকারী, সন্ত্রাসী শিক্ষক বলাসহ ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করায় সরকারী কর্মচারী( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণ করেছেন। তাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৯ এর ধারা ৪৭ এর (৬) অনুযায়ী এবং সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী মাসুম খানকে চাকুরী হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এই আদেশ ২৮ আগস্ট অপরাহ্ন হতে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে বরখাস্তকৃত কর্মচারী মাসুম খান জানান, একজন সরকারি কর্মচারীকে শোকজ করা হলে এর জবাবদিহিতার জন্য সময় দরকার এবং তদন্ত কমিটি করা দরকার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন না করে শোকজের জবাবের পরের দিনই আমাকে বরখাস্ত করে। আমি শোকজের যে জবাব দিলাম তা কেনো সন্তোষজনক হলোনা এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি এবং সাময়িক বরখাস্তের কোনো হার্ডকপিও আমাকে দেয়নি।