আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

কুড়িগ্রামে খরার কবলে আমন খেত, সেচই একমাত্র ভরসা

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, দুপুর ০৪:৩৪

একমাত্র ফসল রক্ষার্থে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ৫৫০টি শ্যালো মেশিন ও বিভিন্ন ধরনের সেচযন্ত্র বসিয়ে আমন খেতে পানি দিচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোপণকৃত আমন খেতে পানি না থাকায় মরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় কৃষকরা শ্যালো মেশিন ও সেচযন্ত্র দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক পরিচর্যা করলে দ্রæত বেড়ে উঠবে কচি আমন ধান গাছ। কৃষকরা সকাল বাধা উপেক্ষা করেও আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

কুরুষা ফেরুষা গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী মাস্টার ও গজেরকুটি গ্রামের রণজিত চন্দ্র রায় বলেন, এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমন ধান বৃষ্টিনির্ভর ফসল হিসেবে পরিচিত। এই ফসল আমরা যুগের পর যুগ ধরে বৃষ্টির পানি দিয়ে আবাদ করে আসছি। কিন্তু এখন আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। বাম্পার ফলনের আশায় বাধ্য হয়ে আমন খেতে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিচ্ছি। তারা আরো জানান, অনেক কৃষক ধার-দেনা করে হলেও আমনের বাম্পার ফলনের আশায় অতিরিক্ত খরচ বহন করে আমন খেতে পরিচর্যা করছেন। অথচ কৃষকরা ঘামঝরা কষ্ট করেও ধানের দাম থেকে বঞ্চিত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেশ কিছুদিন যাবত্ উপজেলায় তাপদাহ বিরাজ করছে। তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের আমন আবাদে সেচযন্ত্র চালুর পরামর্শ প্রদান করেছেন। চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করেছে। আমন খেতে পানি দিতে ৫৫০টি শ্যালো মেশিন ও সেচযন্ত্র দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি দিচ্ছেন। আশাকরি সব বাধা পেরিয়ে এ বছরও আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied