সকালে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়, দৈনিক দাবানল, স্টেশন রোডসহ মর্ডাণ মোড় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধের চেষ্টা করে পিকেটাররা। এসময় দৈনিক দাবানল মোড়ে পরপর ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
গ্রান্ড হোটেল মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামন থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাপলা চত্ত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড় হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অন্যদিকে নগরীর মডার্ন মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের উপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী পালন করছে আঠারো দলীয় জোট। দুপুরে জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে জোট নেতৃত্ব।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিংও করেছে হরতাল সমর্থকরা। এতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে রংপুরের সড়ক পথের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। চরম দুভোর্গে পড়েছে মানুষ। স্থবির হয়ে আছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি নগরজুড়ে বিজিবি- র্যাবও টহল দিচ্ছে।
বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর গ্রেফতারসহ আঠারো দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও পুিিলশি হামলা, মামলা, নির্যাতন, গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে রংপুরে আজ সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালন করছে জেলা বিএনপি।
এদিকে অবরোধ অন্যদিকে হরতাল এই দুই মিলে রংপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। চোরাগুপ্তা হামলার ভয়ে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া নগরীর অধিকাংশ দোকানপাট, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও উপস্থিতি সংখ্যা কম ছিল।
