শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাখির নমুনা জব্দ করে মরদেহ মর্গে পাঠায় সদর থানা পুলিশ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট রোডের সিটি রাইস মিল লিমিটেডের সামনে পাখি গুলো জড়ো করে রেখে পাখি হত্যার বিচার চাই লেখা প্লেকার্ড রয়েছে। সেখানে ২৯টি বাবুই, ২৪ টি ঘুঘু, ২টি সারস, কোয়েল ১টি ও ১টি কবুতর পাখি মৃত দেখা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট পৌরসভার সুকান দিঘী এলাকায় আবুল কাশেমের চাতাল মিলে শুকাতে দেয়া ধান খেয়ে ফেলে পাখি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাতাল মালিক কিছু ধানে বিষ মিশ্রন করে চাতালের চার দিকে রেখে দেয়। এসব ধান খেয়ে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির পাখি মারা যায়। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা চাতাল থেকে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির মৃত পাখি উদ্ধার করে।
এসব মৃত পাখির ছবি তুলে পাখি হত্যার বিচার দাবি করে মহবুব হাসান মনু নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে সেয়ার দেয়া হলে মুহুর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। অবশেষে সদর থানা পুলিশ পাখির মরদেহ উদ্ধার করে জেলা পশু হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এ দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল তদন্ত করছেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
ওই এলাকার মাহহাবুব হাসান মনু বলেন, চাতালে ধান খাওয়ার অপরাধে ২/৩ দিন ধরে বিষ প্রয়োগে পাখি হত্যা করেই চলেছেন কাশেমের চাতালে। শনিবার সকালেও ওই চাতাল থেকে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মকবুল হোসেন বলেন, বন্য পাখিগুলো কিভাবে মারা পড়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, প্রতিটি প্রজাতির একটি করে পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য পশু হাসপাতালে পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ঘটনা তদন্তে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।