গত অবরোধ চলাকালিন ২য় দিন সরকারী কলেজ মোড়ে অবরোধকারীদের উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় সাবেক এমপি রেজিনা ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নানসহ ২০ জন আহত হয়। এই হামলার প্রতিবাদে দিনাজপুর জেলা ১৮ দল গত রোববার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করে। হরতালে সারা দিয়ে জেলার সাধারন মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং দোকান পাট-কৃষি কাজ বন্ধ রাখে।
অন্যান্য হরতালে কিছু রিক্সা চললেও রোববার হরতালে রিক্সাও বন্ধ ছিল। হরতাল চলাকালিন সময় সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, মহিলা দল, পৌর মহিলা দল, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, যুবদল, কৃষক দল, সেচ্ছা সেবক দল, শ্রমিক দল, তাঁতীদল, ন্যাপ, জাগপা, যুব জাগপা, মিহলা জাগপাসহ ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের সকল নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করে। রোববার হরতালের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে সাধারন মানুষই এই হরতাল আহবান করেছে।
হরতাল চলাকালিন সময় পৌরসভা রেল গুমটিতে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান মিন্টু, সাধারন সম্পাদক মুকুর চৌধুরী, সাবেক এমপি রেজিনা ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান উজ্জল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক হেলাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত জেলা আমির এড. মাহাবুবুর রহমান ভুট্টু, শহর আমির তৈয়ব আলী, শহর শিবির শাখার সভাপতি মতিউর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য নুর আলম খোকন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোস্তফা কামাল মিলন, সদস্য সচিব মোখসেদুল ইসলাম টুটুল, যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, পৌর মহিলা দলের আহবায়িকা ও পৌর কাউন্সিলর শাহিন সুলতানা বিউটি প্রমুখ।