আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

১৪ দিন পর লাশ ফেরৎ পেল পরিবার পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাবুলের

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রাত ১০:৩২

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৭ সেপ্টেম্বর॥ অবশেষে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ১৪ দিন পর বাবুল মিয়ার (২৫) লাশ ফেরত পেল পরিবার। আজ মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে বিজিবির উপস্থিতে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশের কাছে বাবুল মিয়ার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে পুলিশ বাবুল মিয়া লাশ তার বাবা নূর মোহাম্মদের কাছে বুঝে দিলে সেখান থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ছেলের লাশ বুঝে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাবুলের বাবা। লাশ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৫১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইসাহাক মন্ডল, ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ, পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দলি লতিফ খান, দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ। ভারতীয় ৫৪ বিএসএফের উপ-অধিনায়ক এসওয়াই খেঙ্গারু, কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি থনার সার্কেল কর্মকর্তা পুরান রায় ও থানা পুলিশের কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র রায়। বাবুলের লাশ বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন শেখ। উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সীমান্ত এলাকার কালিগঞ্জ গ্রামের বাবলু মিয়া ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (১৪) গরুর ঘাস কাটতে বের হয় বাড়ি থেকে। এসময় তাদেও বাড়ি পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে ঘাস কাটার সময় তাদেরকে গুলি করে ভারতীয় বিএসএফ। গুলিতে বাবুল মিয়া নিহত এবং সাইফুল আহত হলে হতাতদের নিয়ে যায় বিএসএফ। সে থেকে নিহত বাবুলের লাশ ও আহত সাইফুলকে ফেরত চায় এলাকাবাসীসহ তাদের পরিবার। এমন দাবিতে তারা এলাকায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। দাবির প্রেক্ষিতে ঘটনার ১৪ দিন পর বাবুলের লাশ ফেরৎ এলেও সাইফুলকে ফেরৎ পায়নি তার পরিবার। এদিকে আহত সাইফুলের বাবা গোলজার হোসেন বলেন, বাবুলের লাশ ফেরৎ পেয়েছে তার পরিবার। এখন সাইফুলকে ফেরতের দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied