আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি      

 width=
 

লালমনিরহাটে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রাত ০৯:৪৮

রোববার(২৯ সেপ্টেম্বর) বিকলে ৪টার দিকে উপজেলার চাপারহাট বাজারের একটি অফিস কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও জমিদাতা মাহা আলম সরকার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মরহুম শামসুচ্ছুদ্দিন-কমর উদ্দিন নামে একটি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ন্যায় গত ২০১১ খ্রীস্টাব্দে অত্র এলাকার নারী শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে জমিদাতা মাহা আলম সরকারের ২৩.৫ শতক জমি দান পত্র করে দুই মায়ের নামে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাট-তুষভান্ডার অঞ্চলিক রাস্তার পাশে ‘জামেনা-রওশন আরা মহিলা কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করি। ওই জমিটির মূল্য বর্তমান বাজারে ৩৫,২৫,০০০(পয়ত্রিশ লক্ষ পচিশ হাজার টাকা)। কিন্তু আমার অপর বিমাতা ভ্রাতাগণও ওই প্রতিষ্ঠানে জমি দান করেন। প্রতিষ্টানটি প্রতিষ্ঠিত করার পূর্বে সিদ্ধান্ত হয় যে, মাতা জামেনা বেগমের পক্ষে মোঃ মাহ আলম ও মাতা রওশন আমার পক্ষে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পুত্রদ্বয় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হবে। ওই হিসাবে প্রতিষ্ঠানের দুইজনের নাম রাখা হয় জামেনা-রওশন আরা মহিলা কলেজ। সে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো নির্মানের সময় গত ০৫/০৮/২০১১ খ্রীষ্টাব্দে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে নগদ ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ)টাকা করা হয়। এ ছাড়াও আমার মালিকানা জমি ৮.৫ শতক জমির মুল্য পরিশোধের প্রতিশ্রæতি দিয়ে কলেজের ভবন নির্মাণ শুরু করে। কিন্তু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেই জমি’র টাকা এখনো পরিশোধ করেনি। এমনকি কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাকে সকল কার্যক্রম হইতে বঞ্চিত করে নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেছে। তার পরিবারের সবাইকে কমিটিতে রেখে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মসহ আর্থিক সকল সুযোগে সুবিধা ভোগ করছেন চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। প্রভাব খাটিয়ে নিজেই আবার ওই কলেজের সভাপতি হয়েছেন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন দপ্তরসহ জেলা শিক্ষা অফিসার লালমনিরহাট বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের দায়ীত্বে প্রদাণ করেন উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসারকে। কিন্তু মোটা অংকের টাকা দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মহোদয় সরেজমিনে যাচাই না করে পক্ষ পাতিত্বের আশ্রয় গ্রহন পূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এবং ২৩.৫ শতক জমির মূল্য ১০,০০,০০০/-( দশ লক্ষ) টাকার সম পরিমান কি না? তাহা স্পষ্ট নয়। পরে ২০১৫ ইং সনের ২ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন পত্র দাখিল করি। বর্তমানে এ ঘটনকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাট আদালতে একটি চলমান মামলা রয়েছে। এ বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সকল প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন জামেনা-রওশন আরা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied