মেহেদী হাসান মর্ডাণ ২০০২ সালে দেশ-বিদেশে আলোচিত চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী তৃষা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিল। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। পরে আপীল বিভাগ সেই দন্ডাদেশ রহিত করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন।
ধর্ষিত ছাত্রীটির মা ও পুলিশ জানায়, চলতি বছরের 'গত ১১ই সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী গাইবান্ধা শহরের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মর্ডাণ ও তার সহযোগী সাব্বির হোসেন বাপ্পী জোড় করে তাকে মটরসাইকেলে তুলে শহরের অদ‚রে বোয়ালী বাজারে এক মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে ধর্ষণ করে মর্ডান। এঘটনায় পরদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার গোদারহাটস্থ ইসলাম প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মডার্নকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ গত শনিবার দুপুরে তাকে গাইবান্ধা থানায় নিয়ে আসে।
উলেখ্য,২০০২ সালের ১৭ই জুলাই গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা তৃষা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্ডাণসহ তিন বখাটে তাকে ধাওয়া করে। এসময় পুকুরে পড়ে তৃষা মারা যায়। এঘটনায় তারা বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হলেও পরে আবেদনের পরিেেপ্রক্ষিতে আপিল বিভাগ তাদের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন।